লকডাউন লাইভ

ছয় লাখের ক্রিকেটার ত্রিশ হাজারে!

নাহিয়ান আরেফিন

নাহিয়ান আরেফিন
প্রকাশের তারিখ: 12:01 বুধবার, 22 জুলাই, 2020

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররা একটা অভিযোগ সবসময়ই করে থাকেন। জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের বেশি অগ্রাধীকার দিয়ে অবহেলা করা হয় ক্লাবের ক্রিকেটারদের। স্বার্থটা দেখা হয় শুধুমাত্র জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের। ক্লাবের ক্রিকেটাররা পড়ে থাকেন অন্তরালেই।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের কথা পৌছায় না ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটারস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কাছে (কোয়াব)। যদিও এই ক্রিকেটারদের জন্যই তৈরী করা হয়েছিল সংগঠনটি। তারপরও ক্রিকেটারদের এমনটাই অভিযোগ করতে শোনা যায়।

সম্প্রতি ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে ফেসবুক লাইভে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল।

কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল বলেন, 'আমি বলবো যে অভিযোগ করাটা বেশ সহজ। জাতীয় দল বলে তাদের জন্য আমরা কিছু করি না। ইতোমধ্যে তিন দফায় তাদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। এখন আমাদের কোয়াবের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যেটা সেটি হল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার এবং জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের যেই বেতন বৈষম্য রয়েছে সেটি ঠিক করা।

'আপনি দেখেন আমাদের জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ বেতন সাড়ে ৫ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা। অপরদিকে জাতীয় লিগের প্রথম সারির খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ বেতন ৩০ হাজার টাকা। এখন আপনি ভেবে দেখুন একটা জাতীয় দলের খেলোয়াড় জাতীয় দলে খেলার সময় ৬ লাখ টাকা পাচ্ছে, সে যদি এক বছর ভালো না করে তাহলে সে প্রথম শ্রেণির চুক্তিতে পড়ে যাবে। তখন তার বেতন হবে ৩০ হাজার টাকা। ৬ লাখ টাকার বেতনের খেলোয়াড়ের এক বছরের ব্যবধানে বেতন হয়ে যাচ্ছে ৩০ হাজার টাকা।'

একই সঙ্গে তিনি দাবী করেন খেলোয়াড়দের অভিযোগের ভিত্তিতে কোয়াব কাজ আগেও করেছে, এখনও করছে। আর চলমান দ্বন্দ্বের মূল কারণ হিসেবে দায়ী করেন প্রথম শ্রেণির খেলোয়াড়দের। বলেন তাদের অসহযোগিতার কারণেই দ্বন্দ্ব এখন পর্যন্ত মিটানো সম্ভব হচ্ছে না।

দেবব্রত পাল বলেন, 'আমি জোড় গলায় বলবো যে একটা অভিযোগ দেখান যেটা নিয়ে আমরা কাজ করিনি, অভিযোগ মেটাতে আমরা চেষ্টা করিনি। হ্যা আপনি সব সময় সফলতা পাবেন না। ১০০ ভাগ সফল কেউ কোনো দিন হতে পারে না। আমরা মনে করি আমরা ৭০-৮০ ভাগ কাজ করার চেষ্টা করেছি। কোয়াবের কিন্তু প্রধান শক্তি প্রথম শ্রেণির খেলোয়াড়রা। কিন্তু এই প্রথম সারির খেলোয়াড়দের জন্যই আমরা এই দূরত্বটা দূর করতে পারছি না।'