দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট

যেভাবে ক্রিকেটে আসলেন ডি ভিলিয়ার্স

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:02 বৃহস্পতিবার, 16 জুলাই, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ডার হিসেবে পরিচিত জন্টি রোডস। শুধুমাত্র ফিল্ডিং দিয়েও যে দলকে জেতানো যায় তারই প্রমাণ একাধিকবার দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই ক্রিকেটার। এই ৫০ বছর বয়সী রোডসের ফিল্ডিং দেখেই ক্রিকেটে পা রাখার আগ্রহ জন্মেছিল তাঁরই স্বদেশী এবি ডি ভিলিয়ার্সের।  

ঘটনাটি ছিল ১৯৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে। সেবার পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমে অবিশ্বাস্য একটি থ্রোতে ইনজামাম উল হককে রান আউট করেন জন্টি রোডস। সেই ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিং করে ২১১ সংগ্রহ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টির কারণে এরপর পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৬ ওভারে ১৯৪। 

এই রান তাড়া করতে নেমে ৩১তম ওভারে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। সেসময় ক্রিজে ছিলেন ইনজামাম এবং ইমরান খান। ব্যাট হাতে ইনজামামকেই মনে হচ্ছিলো দলের ত্রাণ কর্তা। কিন্তু এমন সময়েই বাজিমাত করলেন জন্টি। 

ব্রায়ান ম্যাকমিলানের অফস্টাম্প লাইনের বলটি মিডউইকেট বরাবর খেলতে গিয়ে মিস করেন ইনজামাম। এরপরই শুরু করলেন দৌড়। কিন্তু স্টাম্পের কাছে এসে রীতিমত পাখির মতো উড়াল দিলেন রোডস। উড়ন্ত অবস্থাতেই অবিশ্বাস্য এক থ্রোতে স্টাম্প ভেঙে দিলেন তিনি। এরপর অনেক দিন অতিবাহিত হলেও রোডসের সেই রান আউটটি অমলিন রয়েছে ইতিহাসের পাতায়।  

রোডসের সেই রান আউট থেকেই ক্রিকেটে আসার অনুপ্রেরণা পান ডি ভিলিয়ার্স। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ছোটবেলা থেকেই জন্টি রোডসের প্রভাব আমার উপরে পড়েছিল। ১৯৯২ সালে আমার বয়স আট। টিভিতে লাইভ দেখেছিলাম সেই রান আউট। তার পর থেকে সেই রান আউট নিয়মিত প্র্যাকটিস করতাম। ঘাসের মাঠে প্র্যাকটিস করতাম। শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গিয়ে রক্ত ঝরত। কিন্তু অনুশীলন থামাইনি। আমার জীবনের আক্ষেপ ও রকম রান আউট আমি করতে পারিনি। কিন্তু ওই রান আউটটা মাঠের ভিতরে আমাকে এখনও স্পেশাল কিছু  করার প্রেরণা জোগায়। জন্টিও তো সেরকমই খেলত।  আমিও সে ভাবেই খেলার চেষ্টা করে গিয়েছি।'

ফিল্ডিংয়ে রোডসের মতোই সিদ্ধহস্ত ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় বল লুফে নিতে পারদর্শী এই প্রোটিয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান ২০১৮ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১১৪টি টেস্ট, ২২৮টি ওয়ানডে এবং ৭৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন সাবেক এই অধিনায়ক।