সিপিএল

মাহমুদউল্লাহ-মুস্তাফিজের সিপিএল প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের কারণ

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 21:10 বুধবার, 15 জুলাই, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আগামী ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) আসরে খেলার জন্য ডাক পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সিপিএলের জনপ্রিয় দুই দল সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস এবং সেইন্ট লুসিয়া জুকসের তরফ থেকে এই অফার পান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। তবে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে লোভনীয় এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।

সম্প্রতি সিপিএলে খেলার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়া প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি জানান করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থাকায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে পাঠাতে নারাজ। পরিবারের সিদ্ধান্তকে সম্মান করেই না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।

মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'সিপিএলে খেলার অফার পাওয়াটা দারুণ ব্যাপার। সেন্ট লুসিয়া এবং সেন্ট কিটস উভয় দলই আমাকে অফার দিয়েছিল আগামী সিপিএল আসরে খেলার জন্য। আমি তাদের সঙ্গে গত পাঁচ দিন ধরে আলোচনা করেছি। আমি আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা মনে করছে করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে আমার সিপিএলে খেলাটা নিরাপদ হবে না। তাই আমি তাদের অফার প্রত্যাখ্যান করেছি।' 

এদিকে মাহমুদউল্লাহ ছাড়াও সিপিএলে খেলার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন জাতীয় দলের তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান এবং ওপেনার তামিম ইকবালও। সিপিএলের চেয়ে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন মুস্তাফিজ। একই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতিকেও বিবেচনায় রাখছেন তিনি।

মুস্তাফিজ বলেন, 'প্রস্তাব পেয়েছিলাম কিন্তু না করে দিয়েছি। আমি না করেছি কারণ যে কোন সময় আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ শুরু হতে পারে‌। এছাড়াও করোনার ব্যাপার তো আছেই। এখনো যেভাবে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে!'

মুস্তাফিজের মতো তামিমও প্রিমিয়ার লিগে খেলার জন্য এবং নিরাপত্তার কথা ভেবে সিপিএলে খেলতে রাজি হননি। পুরো বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবার নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন জাতীয় দলের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। 

তামিমের ভাষ্যমতে, 'প্রস্তাবটি যথেষ্টই আকর্ষণীয় ছিল। তবে অনেক কিছু ভাবনায় রাখতে হয়েছে আমাকে। প্রথমত, আমাদের দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখনও খুব ভালো নয়। আমি খেলতে যাওয়ার পর আমার পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত ফিরে আসা খুব কঠিন। ক্যারিবিয়ানে ও সারা বিশ্বের বিমান যোগাযোগ এখনও স্বাভাবিক নয়। এতসব দুর্ভাবনা নিয়ে খেলাও কঠিন। এছাড়া ঈদের পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের খেলা যদি শুরু হয়, সেটিও ভাবতে হয়েছে। কারণ আমার ক্লাব আমাকে ঘিরেই দল ও পরিকল্পনা সাজিয়েছে। সব মিলিয়েই না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'