আইপিএল

মালিঙ্গা থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা মুস্তাফিজে প্রয়োগ করেছেন মুডি

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 14:02 বুধবার, 08 জুলাই, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ক্রিকেটে ভাষা জনিত সমস্যা নতুন কিছু নয়। বিদেশি কোচ এবং স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে বরাবরই ঝামেলায় পড়তে হয় ইংরেজি না জানা ক্রিকেটারদের। ফলে কোচ কি বুঝাতে চাচ্ছেন সেটি অনেক সময়ই বুঝতে পারেন না সেসব খেলোয়াড়েরা।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। ২০১৬ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) প্রথমবারের মতো খেলতে গিয়ে ভাষাজনিত সমস্যায় পড়েছিলেন মুস্তাফিজ। সেবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কোচ টম মুডি টাইগার এই পেসারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে গিয়ে বেশ গলদঘর্ম হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদের আরেক বাঙালী খেলোয়াড় রিকি ভুইকে মুস্তাফিজের দোভাষী নিয়োগ দেয়া হয়।

অস্ট্রেলিয়ান টম মুডির জন্য এই অভিজ্ঞতা অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার কোচ থাকার সময় লাসিথ মালিঙ্গার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে বেগ পেতে হয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই মূলত আইপিএলে মুস্তাফিজকে সামলেছেন এই অভিজ্ঞ কোচ।  সম্প্রতি ক্রিকবাজে হার্শা ভোগলের সঙ্গে লাইভ আড্ডায় সেই সময়ের কথা তুলে ধরেছেন মুডি। 

মালিঙ্গার প্রসঙ্গে মুডি বলেন,'সেই ২০০৫ সালের কথা। সেসময় আমি শ্রীলঙ্কার কোচ ছিলাম। সবার সঙ্গে একে একে কথা বলতাম। তাদের ভূমিকা কি, কি করে উন্নতি সম্ভব এসব কিছু। এমন করে ৪ মাস চলে গেল, একদিন মাহেলা আমার কাছে এসে বলে, কোচ আপনি অনেক ভালো কাজ করছেন কিন্তু একটা জায়গায় সমস্যা আছে। মালিঙ্গা একটা কথাও বুঝতে পারেনি আপনার। এটা আমার কোচিং ক্যারিয়ারের জন্য বড় একটা শিক্ষা ছিল। এরপর কোন খেলোয়াড়ের ইংরেজিতে সমস্যা থাকলে আমি লোকাল খেলোয়াড়দের দিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি, যেন এটা মনে না করে তারা দলের কাছে কম গুরুত্বপূর্ণ।'

মুস্তাফিজের মতো ইংরেজি কম জানা ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে হলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে মনে করেন মুডি। এই কারণেই আইপিএল চলাকালীন তার (মুস্তাফিজ) সঙ্গে আলাপকালে অল্পতেই কথা সারতেন এই অস্ট্রেলিয়ান। এক্ষেত্রে রিকি ভুই অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলেও স্বীকার করলেন তিনি। 

মুডি বলেন, 'সেসময় রিকি ভুঁই ছিল দলের সঙ্গে। সে ফিজের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতো। সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে মুস্তাফিজকে বার্তা পৌঁছে দিতে। মুস্তাফিজের মতো কারো সঙ্গে কথা বলতে হলে আপনাকে অল্পতে কথোপকথন শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে বেশ সাধারণ এবং সহজভাবে কথাগুলো বুঝাতে হবে তাকে। তার সঙ্গে সর্বোচ্চ ১০ সেকেন্ড কথা হতো। এক্ষেত্রে রিকি না থাকলে খেলোয়াড় এবং দলের জন্য যোগাযোগ রক্ষা করা অসম্ভব হতো।'