|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ক্যারিয়ারের শুরুতে মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ের মূল অস্ত্র ছিল কাটার। সেই কাটার এখন খুব বেশি কার্যকর করতে পারছেন বাংলাদেশের এই পেসার। তাই বোলিংয়ে নতুন অস্ত্র যোগ করছেন তিনি।
ইনজুরির কারণে মুস্তাফিজের কাঁধে অস্ত্রপচার করা হয়েছিল। এরপর থেকেই কাটারের ধার কমে গেছে এই বাঁহাতি পেসারের। এ ছাড়া মাশরাফি বিন মুর্তজা ওয়ানডের অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন।
তিনি দলে না থাকলে অভিজ্ঞতার ফলে মুস্তাফিজকেই নতুন বলের দায়িত্ব নিতে হবে। তাই শুরুতে বোলিং করে উইকেট তুলে নেয়ার জন্য নিজের বোলিংয়ে বৈচিত্র যোগ করছেন মুস্তাফিজ।
বাঁহাতি এই পেসার 'ক্রিকবাজকে' বলেন, ‘আমি বল কিভাবে সুইং করে সেটা নিয়ে কাজ করা শিখছি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে আমি শুরুতেই বল করেছি এবং উইকেটে নেওয়ার চেষ্টা করেছি যাতে দলের সুবিধা হয়। মাশরাফি ভাই এখন যে কাজ করে কিন্তু সে যখন দলে থাকবে না তখন কাউকে তো এই দায়িত্বটা নিতে হবে। সেজন্য বলে সুইং ও বৈচিত্র নিয়ে কাজ করছি। আমি যদি প্রথম পাঁচ ওভারে এটা (দ্রুত উইকেট নেওয়া) করতে পারি তবে দলের জন্য ভালো হবে। সেজন্য আমি ব্যাটসম্যানদের ভেতর দিয়ে বল কিভাবে বের করে নিয়ে আসতে হয় সেটা নিয়েও কাজ করছি।’
টেস্টে সফল হওয়ার সুযোগ থাকলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সহজে সফল হওয়া যায় না। এর কারণ হিসেবে মুস্তাফিজ উল্লেখ্য করেছেন, টেস্টে এক স্পেলে খারাপ করলে পরবর্তী স্পেলে ভালো করার সুযোগ থাকে ওয়ানডে-টি টোয়েন্টিতে এমনটা করা যায় না।
মুস্তাফিজ বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে একজন বোলারের সামনে ভালো করার সুযোগ থাকে, সময় থাকে। একটা স্পেল খারাপ হলেও আপনি আবার সুযোগ পাবেন বল করার, ভালো করার। উদাহরণ দিলে বলা যায় যে ধরুন আপনি একটা স্পেলে পাঁচ ওভার বল করে ৫০ রান দিলেন। কিন্তু পরের স্পেলে আপনি পাঁচ ওভারে পাঁচ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নিলেন। কিন্তু সীমিত ওভারের ক্রিকেট আপনি সেই যুযোগ পাবেন না। ধরেন আপনি নয় ওভার ভালো বল করেছেন কিন্তু একটা ওভার খারাপ করলে সেটা ম্যাচের ফলাফলে প্রভাব পড়তে পারে।’