আইপিএল

চীনের অর্থায়নেই হবে আইপিএল

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:19 শুক্রবার, 19 জুন, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সাম্প্রতিক সময়ে লাদাখ সীমান্তে বেশ উত্তেজনা চলছে চীন এবং ভারতের ভেতর। দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের হাতাহাতি শেষ পর্যন্ত কিছু সেনার মৃত্যু পর্যন্ত চলে যায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বেশ কিছু মহল থেকে আসে চীনকে বর্জনের উস্কানি।

এরপর থেকেই ভারতীয় জনগণ বর্জন করতে শুরু করে চীনের পণ্য। অনেক জায়গাতে দেখা যায় ভারতীয় জনগণ নিজেদের বাসায় থাকা চীনের ব্র্যান্ডের টেলিভিশন ভাঙচুর করছেন।

ক্রিকেটের খবরের ভেতর কেন বলছি এসব কথা? পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে। আর এর উত্তরটা হল এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। বুঝতে পারছেন না? চলুন দেখে নেই আসল ঘটনা।

আইপিএলের নামের সঙ্গে টাইটেল স্পন্সর হিসেবে উচ্চারিত হয় একটি ফোন কোম্পানির নাম। ভিভো। আর এই ভিভো হল চীনের ফোন কোম্পানি। গেল আসরের মত এই আসরেও টাইটেল স্পন্সর হিসেবে স্বত্ব কিনে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যদিও করোনার প্রকোপে বর্তমানে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে চলতি বছরের আসরটি।

যেখানে ভারতের জনগণ বর্জন করছে চীনের সামগ্রী, সেখানে এতো বড় একটি টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে চীনেরই একটি কোম্পানি। তাহলে কি ভিভোর সঙ্গে চুক্তি শেষ করে দিচ্ছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ? না এমনটি হচ্ছে না। এই জায়গায় এসে ভারত এত রক্তপাত, এত বর্জনের হুমকি বেমালুম ভুলে গেল ভারত।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের কর্তাদের মতে আবেগ দিয়ে সব হয় না। কিছু ক্ষেত্রে যুক্তি দিয়ে চিন্তা করতে হয়।

বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখানে ভারতের স্বার্থ জড়িত। আমরা কোনোভাবেই ভিভোর সঙ্গে স্পন্সরশীপ বাতিল করতে পারব না। আবেগ দিয়ে সব মাপলে তো আর হয় না। আগামী ২০২২ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটির সঙ্গে আমাদের চুক্তি রয়েছে।’

অরুণ ধুমল মনে করেন, অর্থনীতির দিক চিন্তা করলে তাতে ভারতেরই লাভ। কেননা ভিভোর স্পন্সরশীপ থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটা অংশ প্রতিবছর যোগ হচ্ছে সরকারি কোষাগারে। এতে লাভটা চীনের চেয়ে ভারতেরই বেশি হচ্ছে বলে জানান বোর্ডের এই কর্তা। 

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চীনের কোনো পণ্য বিক্রির অনুমতি দিলে সেখান থেকে পাওয়া অর্থ চীন নিয়ে যাচ্ছে। আর যদি তারা বিনিয়োগ করে সেই টাকার কিছু অংশ পাচ্ছে বোর্ড আর তার ৪২ শতাংশ দিতে হয় কর। ব্যক্তিগতভাবে আমিও চীনের পণ্য বর্জন করার পক্ষে। তবে সরকারের স্বার্থের দিকটাও দেখছি। আপনি দেখেন, অর্থটা ভারত থেকে চলে যাচ্ছে না বরং আসছে চীন থেকে।’