লকডাউন লাইভ

রাশিদ খানকে বিশ্বমঞ্চে চিনিয়েছে বিপিএল

নাহিয়ান আরেফিন

নাহিয়ান আরেফিন
প্রকাশের তারিখ: 02:07 বুধবার, 27 মে, 2020

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তাঁর যাত্রা শুরু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলের মধ্য দিয়েই। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ২০১৬ সালে প্রথম ফ্রাঞ্চাইজি লিগে যাত্রা শুরু করেন। এরপর আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে খেলেছেন বিগ ব্যাশ, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল), ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) মতো বড় সব ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টে। সেই সঙ্গে খেলেছেন ইংলিশ কাউন্টি লিগের দল সাসেক্সেও। বলা হচ্ছে আফগানিস্তানের তারকা ক্রিকেটার রাশিদ খানের কথা।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষিক্ত হন ডানহাতি এই আফগান বোলার। ২০১৬ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসে খেলার মাধ্যমে পরিচয় ঘটে হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের সঙ্গে। ২০১৬-১৭ মৌসুম কুমিল্লায় খেলেছেন রাশিদ খান। এরপর ২০১৭ সালে চুক্তিবদ্ধ হন আইপিএলের দল সানরাইজার্স হায়দারাবাদের সঙ্গে। যা এখন বলবৎ রয়েছে।

একই বছর সিপিএলে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে পা রাখেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটেও। ২০১৭-১৮ বিগব্যাশ মৌসুমে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলার মধ্য দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার ষোল কলা পূর্ণ করেন এই আফগান।

বিশ্বের সব বড় বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেললেও রাশিদ খানের মন এখনও পড়ে আছে বিপিএলে। শুধু বিপিএল বললে ভুল হবে। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে রাশিদ খান ভুলতে পারছেন না তাঁর প্রথম দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে। সেই সঙ্গে বিপিএলই তাঁর আত্মপ্রকাশের ভিত্তি বলেও এমনকি যত গুরুত্বপূর্ণ কাজই থাকুক তাঁর, কুমিল্লার প্রতিটা খেলা বল টু বল ফলো করেন রাশিদ খান।

সম্প্রতি ক্রিকফ্রেঞ্জিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের স্বত্ত্বাধীকারী নাফিসা কামাল।

নাফিসা কামাল বলেন, 'রাশিদ খানকে আমরা দলে ভিড়িয়েছিলাম আনুমানিক ২৫ হাজার ডলার দিয়ে, ও যখন প্রথম কুমিল্লা দলে আসছে। এখন আর রাশিদ খানকে এই মূল্যে চুক্তিবদ্ধ করার কথা ভাবাই যায় না। ওর অনেক উপরে উঠে গিয়েছে। ২৫ হাজার ডলার দিয়ে চুক্তিবদ্ধ করে তাকে কিন্তু আমরা তেমন খেলাই নি। কিন্তু ও যে আমাদের দলে আসলো বিপিএলে সেটাই ওর আত্মপ্রকাশের ভিত্তি বলে আমি মনে করি। ও প্রচণ্ড কর্তব্যনিষ্ঠ। ও আমাদের দলের প্রচন্ড ভক্ত। কিন্তু ও মূলত বিগ ব্যাশের জন্য চুক্তিবদ্ধ যার কারণে গেল দুটি আসর খেলতে পারেনি কুমিল্লা দলে।'

রাশিদ খানের তিনি যত গুরুত্বপূর্ণ খেলাই থাকুক বা কাজ থাকুক তিনি কুমিল্লার কোনো খেলা মিস করেন না দেখেন প্রতি বল টু বল। সেই সঙ্গে জানান রাশিদ খানের মায়ের এক কড়া আদেশের কথা।

তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, 'সবচেয়ে বড় বিষয় যেটা ওর যত গুরুত্বপূর্ণ কাজই থাকুক, ও আমাদের একটা খেলাও মিস করে না। প্রতিটা বলে বলে সে খেলা দেখে। কারণ ও সব সময় মনে রাখে আমরাই ওকে প্রথম সুযোগটা দিয়েছিলাম। ও আমাকে ওর মায়ের কথা বলে। ওর মা ওকে বলেন যে, তুমি মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত কুমিল্লায় খেলবে।