বাংলাদেশ- শ্রীলঙ্কা সিরিজ

শঙ্কার কালো মেঘে ঢাকা বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর

ইনতেছার

ইনতেছার
প্রকাশের তারিখ: 16:35 বুধবার, 20 মে, 2020

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠলেও শ্রীলঙ্কায় এর বিস্তার সংকীর্ণ হয়ে আসছে। যার কারণে মাঠে ক্রিকেট ফেরানোর ব্যাপারে আশাবাদী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। জুন মাসের শেষ দিকে ভারত ও জুলাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ দুটি নির্ধারিত সময়েই আয়োজন করতে চায় এসএলসি। যদিও এই সিরিজের ব্যাপারে এখনই সিদ্ধান্ত জানাতে নারাজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, 'দেখেন আমাদের আতিথ্য দিতে চাইলেই তো হলো না। আমরা পাঠাতে পারব কিনা, আমাদের খেলোয়াড়দের পাঠানো ঠিক হবে কিনা এই মুহুর্তে- এসবও দেখতে হবে। কোথায় থাকবে, কি করবে.. এগুলো সহজ সিদ্ধান্ত না। 

একটা জায়গা এখন ভালো আছে, একমাস পরে দেখা গেল আবার হচ্ছে ওখানটায়। এটা তো বলা যাচ্ছে না শেষ হবে কোথায় বা কখন কী পরিস্থিতি। আমরা অন্যদের পর্যবেক্ষণ করব। আইসিসি কি করে, এসিসি কি করে। অন্য দেশগুলো কি করছে। এখন পর্যন্ত কেউ নির্দিষ্ট তারিখ দিলে বলতে পারিনি খেলা কবে হবে। আমরাই এক্ষেত্রে প্রথম হবো, এটা ভাবা ঠিক না।'

এসএলসির প্রধান নির্বাহী অ্যাশলে ডি সিলভা কয়েকদিন আগে ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বলেছিলেন, 'ভারত ও বাংলাদেশ, উভয় বোর্ডের কাছে আমরা জানতে চেয়েছি এবং তাদের উত্তরের অপেক্ষায় আছি। এখনও পর্যন্ত বলতে পারি, সিরিজ দুটি স্থগিত হয়নি।'

যদিও এই সিরিজগুলোর ভাগ্য শুধুমাত্র ক্রিকেট বোর্ডগুলোর চাওয়াতেই হচ্ছে না। শ্রীলঙ্কা, ভারত ও বাংলাদেশ সরকারও পৃথক পৃথকভাবে ভূমিকা রাখতে হবে এখানে।

সবার আগে শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে দেশটির সরকারকে। এরপর ভারত ও বাংলাদেশ সরকারও আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। এরপর শ্রীলঙ্কাকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে।
 
জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার কথা বাংলাদেশের। এই ম্যাচগুলো আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।
বাংলাদেশের আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও সমান সংখ্যক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে ভারতের। 

শ্রীলঙ্কায় এখন কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা পাঁচশ'র কম। ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করে দিচ্ছে সেখানকার সরকার। বাংলাদেশে অবশ্য এর পুরো বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিনই এক থেকে দেড় হাজারের মতো নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছে।