প্রিমিয়ার লিগ

সুদিনের প্রত্যাশায় প্রিমিয়ার লিগের হর্তা কর্তারা

তামজিদুর রহমান

তামজিদুর রহমান
প্রকাশের তারিখ: 11:06 বুধবার, 29 এপ্রিল, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকে প্রাপ্ত আয় দিয়ে সারা বছর চলেন এমন ক্রিকেটার কম নেই বাংলাদেশে। করোনাভাইরাসের কারণে এক রাউন্ড পর টুর্নামেন্টটি বন্ধ হয়ে যাওয়াতে স্বাভাবিকভাবেই বিপদে পড়েছেন এসকল ক্রিকেটাররা। পরিস্থিতি দ্রুত অনুকূলে না আসলে বেকারত্বের মেয়াদ আরো বাড়তে পারে তাঁদের।

খেলা দ্রুত মাঠে গড়াক এমন চাওয়া ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসেরও (সিসিডিএম)। তাদের প্রত্যাশা ঈদের পর পরই খেলা আয়োজন করা সম্ভব হবে। এই লক্ষ্যে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সবসময় নজর রাখছে তারা। 

এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ নারায়ণগঞ্জ এবং গাজিপুরে কিছু গার্মেন্টস খুলেছে। পাশাপাশি হোটেলগুলো ইফতার সামগ্রী বিক্রির অনুমতি পেয়েছে। ধারণা করা যাচ্ছে মে মাসের মধ্যে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসবে। 

এসব দিক বিবেচনা করে সিসিডিএমের সদস্য সচিব আলী হোসেন বলেছেন, ‘আমরা মোটামুটি পর্যবেক্ষণ করছি যে, কতটুকু উন্নতি হয়। পরিস্থিতি কত ভালো হয়। এখন তো মাত্র কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান খুলেছে। দেখি আর একটু অপেক্ষা করি।'

করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আসলে টুর্নামেন্ট শুরু করার ব্যাপারে ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে সিসিডিএম। তাদের (ক্লাব) এবং খেলোয়াড়দের প্রস্তুতির উপর ভিত্তি করে বাকি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান আলী হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা ক্লাবগুলোর সঙ্গে অবশ্যই বসবো। সবগুলো ক্লাবের সঙ্গে আগে বসতে হবে। ক্লাবগুলো কি অবস্থায় আছে। এখন তো খেলোয়াড়রা অনুশীলনের মধ্যে নেই। ক্লাবগুলো কতটা প্রস্তুত এই মুহূর্তে সেটাও জানতে হবে। তাদের আবার খেলোয়াড়দেরকে টেন্টে আনতে হবে। পরিস্থিতি যদি খুব বেশি উন্নতি করে তাহলে তাদের সঙ্গে বসতে হবে। আর না হলে নয়।’

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামী ৫ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়েছে সরকার। এই সময়ের পর ছুটি বৃদ্ধি না করা হলে প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করার ব্যাপারে তোরজোড় শুরু করবে সিসিডিএম।