দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট

হ্যানসি ক্রনিয়েঃ এক রাজপুত্রের উত্থান-পতন

নাহিয়ান আরেফিন

নাহিয়ান আরেফিন
প্রকাশের তারিখ: 16:41 শুক্রবার, 10 এপ্রিল, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

হ্যানসি ক্রনিয়ে। ক্রিকেটের ইতিহাসে স্মরণীয় একজন অধিনায়ক। নায়ক থেকে কিভাবে খলনায়ক হতে হয় ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছিলেন সাবেক এই দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক। দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব, ম্যাচ পাতানো সর্বপরি অস্বাভাবিক করুণ মৃত্যু। একাই সব দেখিয়েছেন সাবেক এই প্রোটিয়া অলরাউন্ডার। আজকের এই লেখা তাঁকে নিয়েই।

দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লুমফনটেনে ১৯৬৯ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর ইউয়ি ক্রনিয়ে এবং সান মারি ক্রনিয়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন হ্যানসি ক্রনিয়ে। এমন একটা সময়ে তিনি জন্ম নিয়েছিলেন যখন দক্ষিণ আফ্রিকা সবেমাত্র বর্ণবাদের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছে।

আশির দশকে ব্লুমফনটেন শহরের সবচেয়ে নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রে কলেজে পড়তেন হ্যানসি ক্রনিয়ে। ছিলেন স্কুলের ক্রিকেট এবং রাগবি দলের অধিনায়ক। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভলসটেড তার ছাত্র হ্যানসি ক্রনিয়েকে নিয়ে বেশ আশাবাদীও ছিলেন। ক্রনিয়ের প্রিয় শিক্ষকও ছিলেন তিনি।

ক্রনিয়ে একদিন তাঁর প্রিয় শিক্ষককে বলেছিল, ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসে কখনো খেলার সুযোগ পেলে বিমানের টিকিট পাঠিয়ে দেবে স্যারকে। কিন্তু আকাশছোঁয়া স্বপ্ন দেখা ক্রনিয়ে ভুলেই গিয়েছিল তার দেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ তখনো।

তবে আকাশছোঁয়া স্বপ্ন দেখেই ক্ষান্ত হননি ক্রিনিয়ে। ১৯৮৮ সালে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেইটের হয়ে ট্রান্সভালের বিপক্ষে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলেন, মাত্র ১৮ বছর বয়সে।

প্রথম মৌসুম ভালো-মন্দে কাটালেও তার বিচক্ষণতা দেখে কয়েক মৌসুম পরেই তাকে দলের অধিনায়কের দায়িত্বভার তুলে দেয়া হয়েছিল ক্রনিয়ের কাঁধে।  লাল বলের ম্যাচে মাত্র ১৯ গড়ে রান করলেও সাদা বলের ম্যাচে সবার নজর কেড়েছিলেন তিনি। কেননা সাদা বলে তাঁর রান ছিল গড়ে ৬০ এর উপর।

১৯৯২ এর বিশ্বকাপের আগেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফেরে দক্ষিণ আফ্রিকা। এখান থেকেই শুরু ক্রনিয়ের স্বপ্ন পূরণের যাত্রা। ডাক পান জাতীয় দলে। তাও সেটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপের দল। ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের সেই আসরে ৮ ম্যাচে রান ছিল তাঁর গড়ে ৩৪ করে।

বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যায়, ঐ সফরেও দলের সাথে ছিলেন ক্রনিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা নির্বাসন কাটিয়ে প্রথম টেস্ট খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, সেই ম্যাচেই দলে জায়গা করে নেন তিনি।

এরপর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দুর্দান্ত সময় কাটতে থাকে ক্রনিয়ের। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে ঘরের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে বেশ ফর্মে ছিলেন এই অলরাউন্ডার। টেস্টে নিজের ক্যারিয়ারের ৫ম ইনিংসে ভারতের বিপক্ষে ৪১১ বলে ১৩৫ রান করে নির্বাসনের পর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম জয় নিশ্চিত করেন ক্রনিয়ে।

তখনো দলের দায়িত্বভার বুঝে পাননি তিনি। তবে তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়নি খুব বেশি দিন। নেতৃত্বের অসাধারণ গুণ নিয়ে জন্মানো ক্রনিয়ে নিয়মিত অধিনায়ক কেপলার ওয়েসলেসের ইনজুরির কারণে পেয়ে যান সেই সুযোগ। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসাবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে সিডনিতে দলকে প্রথমবার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।

ক্রনিয়ে  যখন দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন, তখন অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য মাত্র ১১৭ রানের প্রয়োজন ছিল, তিনি দেরি না করে ডোনাল্ডকে সরিয়ে বল তুলে দেন ডি ভিলিয়ার্সের হাতে। ডি ভিলিয়ার্স ঐ ইনিংসে ৬ উইকেট শিকার করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫ রানের জয় এনে দেন।

এতো কিছুর মাঝেও ক্রনিয়ে শিক্ষককে দেওয়া কথা ভুলেন নি, ১৯৯৪ সালে লর্ডসে নামার আগে কলেজের প্রধান শিক্ষকের ঠিকানায় বিমানের টিকেট পাঠিয়ে দেন তিনি।

অধিনায়ক হিসেবে ক্রিনিয়ের পরিসংখ্যান তাঁকে অন্য যেই কোনো অধিনায়কের চেয়ে বুদ্ধিদ্বীপ্ততায় এগিয়ে রাখবে। প্রোটিয়াদের ১৮টি টেস্ট সিরিজে নেতৃত্ব দিয়ে জয় এনে দিয়েছিলেন ১৩টি সিরিজে, পরাজয় মাত্র ৪টি সিরিজে। ওয়ানডেতে ১৩৮ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৯৯টি জয় এনে দিয়েছেন দলকে, পরাজিত হয়েছেন ৩৫ টি ম্যাচে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র ৮ বছরের ক্যারিয়ারে হ্যানসি ক্রনিয়ের ব্যক্তিগত অর্জন ছিল অনেক। ৬৮টি টেস্ট ম্যাচে ৩৬.৪১ ব্যাটিং গড়ে ৩,৭১৪ রানের পাশাপাশি শিকার করেছেন ৪৩টি টেস্ট উইকেট। আর ১৮৮ টি ওয়ানডে ম্যাচে ৩৮.৬৪ ব্যাটিং গড়ে ৫,৫৬৫ রান করার পাশাপাশি শিকার করেছেন ১১৪ উইকেট।

দুর্দান্ত খেলা এবং অধিনায়কত্ব করা সত্ত্বেও বিশ্বকাপে এলেই কেমন যেন খেই হারিয়ে ফেলত তাঁর দল। উদাহরণ হিসেবে টানা যায় ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের কথা। ম্যাচ টাই হওয়ার পর দুর্ভাগ্যজনকভাবে ডোনাল্ড রান আউট হলে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। যা আজ অবধি বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম হৃদয় বিদারক ঘটনা হিসেবে পরিচিত। এছাড়া ১৯৯২ সালে বৃষ্টি আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১ বলে ২২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে হবার কারণে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।

শেষ ওভারে ৯ রানের দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। এমন অবস্থায় বল হাতে আসেন ফ্লেমিং। ফ্লেমিংয়ের করা প্রথম দুই বলে দুটি চার হাঁকিয়ে ম্যাচ টাই করেন ল্যান্স ক্লুজনার। এরপর তৃতীয় বলে রান নিতে গিয়ে রান আউট থেকে বেঁচে যান ডোনাল্ড। এরপরের বলে আবারো স্ট্রেইট ড্রাইভ করে দৌড় শুরু করেন ক্লুজনার, এবার সবাইকে বিস্মিত করে দাঁড়িয়ে থাকেন ডোনাল্ড। শেষ পর্যন্ত ২ বল বাকি থাকতে অল আউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে রানরেটে এগিয়ে থাকার কারণে ফাইনালে উঠে যায় অস্ট্রেলিয়া।

এতো গেল ক্রনিয়ের স্বর্ণযুগের কথা। এখন আসি কালো অধ্যায়ে।

কথায় আছে, মানুষের ভালো সময় খুব বেশি দিন থাকে না। ক্রনিয়ের বেলাতেও ফলে গেল এ কথা। ১৯৯৬ সালে হঠাৎ করেই ভারতীয় পুলিশ অভিযোগ আনে ক্রনিয়ের ম্যাচ পাতানো নিয়ে। সেই সঙ্গে প্রকাশ করে সেই সম্পর্কিত তথ্য।  

পুলিশের দেয়া তথ্যমতে তৎকালীন ভারতীয় অধিনায়ক আজহারউদ্দিনের মাধ্যমে জুয়াড়ি মুকেশ গুপ্তার থেকে টাকা নিয়ে ম্যাচ ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্রনিয়ে। যদিও পরে কিং কমিশনের সাথে কনফারেন্সে জানান, টাকা নিয়েছেন ঠিকই কিন্তু পাতানো ম্যাচ খেলেনি তার দল। কিছুদিন আগে আজহারউদ্দিনের জীবনী নিয়ে বানানো মুভিতেও দেখা যায়, আজহারউদ্দিন টাকা নিলেও পাতানো ম্যাচ খেলেননি।

হ্যানসি ক্রনিয়ের সঙ্গে ম্যাচ পাতানোরর দায়ে অভিযুক্ত হন আরো তিন প্রোটিয়া ক্রিকেটার। এরা হলেন হার্শেল গিবস, হেনরি উইলিয়ামস এবং নিকি বোয়ে। হার্শেল গিবস এবং হেনরি উইলিয়ামস জুয়াড়িদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন এই বলে যে গিবস ২০ রানের কম করবেন এবং উইলিয়ামস বোলিংয়ে ৫০ রানের বেশি খরচ করবেন।

কিন্তু ঐ ম্যাচে হার্শেল গিবস ৭৪ রান করেন এবং উইলিয়ামস নিজের দ্বিতীয় ওভার করার সময় ইনজুরিতে পড়েন। তবুও তাদেরকে ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় ক্রিকেট থেকে। অপরদিকে ক্রনিয়ে পান আজীবনের নিষেধাজ্ঞা।

ব্যক্তিগত জীবনে বেশ রহস্যময় মানুষ ছিলেন ক্রিনিয়ে। তাঁর নেতৃত্বে খেলা ক্রিকেটাররাও তাঁর মতিগতি বুঝতেন না। সাবেক এই অধিনায়কের সতীর্থ মার্ক বাউচার তাঁর জীবনী ‘থ্রু মাই আইস’ বইয়ে বলেছেন, “ওকে (ক্রনিয়ে) বোঝা কঠিন ছিলো। একদিন হাসছে, অন্যদিন রসিকতা করছে আবার কোনো দিন রেগে আগুন।”

রসিকতার ছলে নাকি সতীর্থদের ম্যাচ পাতানোর কথা বলেছিলেন ক্রনিয়ে। মার্ক বাউচার জানান, “একবার ক্রনিয়ে ক্যালিস, ক্লুজনার এবং আমাকে ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে দুই লাখ ডলার পাওয়া যাবে, এমন প্রস্তাব দেয়। তখন আমরা সবাই ব্যাপারটা রসিকতা মনে করে হেসে উড়িয়ে দেই।”

ক্রনিয়েকে যে ম্যাচে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয় ঐ ম্যাচ সম্পর্কে মার্ক বাউচার বলেন, “নাগপুরের ঐ ম্যাচে ক্রনিয়ে আমাকে ঠিক স্ট্যাম্পের পিছনে দাঁড় করিয়ে লেগ স্ট্যাম্পের অনেক বাহিরে বল করছিলেন, যাতে করে বাই চার রান হয়। কিন্তু তার মতো বোলারের লেগ স্ট্যাম্পের এতো বাহিরে বল করা অসম্ভব ছিল। ওর এইরকম অনিশ্চিত মনোভাব দেখে আমার সন্দেহ হত।”

তিনি আরও বলেন, “হ্যানসি ক্রনিয়ে  ধরা পড়েছিল, ও নিশ্চয়ই দোষী ছিল। তবে তার ঘটনা থেকে যে শিক্ষা নেয়া দরকার ছিল, তা কিন্ত নেয়া হয়নি। কোনো দেশই ম্যাচ পাতানোর বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখে না। প্রকৃত ব্যবস্থা নেয় না।”

কিং কমিশনের সামনে প্রকাশ্যে কান্নার ভিডিও ফুটেজ দেখে বাউচার ও জন্টি রোডস আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কমিটিকে প্রশ্ন করেছিলেন, গত ১০ বছরে আপনারা কি শুধু একজন ক্রনিয়েকেই দোষী ভাবছেন? বাউচারের মতে, “একা ক্রনিয়ে দোষী ছিলেন, এটা কখনোই বিশ্বাসযোগ্য ছিল না।”

ভারতে ম্যাচ ম্যাচ পাতানোর কীর্তি ফাঁস হওয়ার পরে ডারবানের এক হোটেলে মিটিং ডেকে ক্রনিয়ে তাঁর সতীর্থদের বলেছিলেন, তিনি একেবারেই নির্দোষ, অন্যায়ভাবে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। কিন্তু পরদিনই টিম ম্যানেজার গুলাম রাজা মারফত বাকিরা জানতে পারেন, বোর্ডের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন ক্রনিয়ে।

ম্যাচ পাতানোর ঘটনা প্রমাণিত হবার পর অন্যদের যেভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের শিকার হতে হয়েছে, ক্রনিয়ের ক্ষেত্রে ততটা ঘটেনি। রহস্যজনক এবং মর্মান্তিক মৃত্যুর কারণেই ক্রিকেটবিশ্বে সবার কাছ থেকে আলাদা একটা সহানুভূতি পেয়েছিলেন তৎকালীন বিশ্বসেরা অধিনায়কদের একজন ক্রনিয়ে ।

ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়ে জীবন নতুন করে শুরু করতে তিনি যোগ দিয়েছিলেন ‘বেল ইকুইপমেন্ট’ নামক একটি কোম্পানির হিসাবরক্ষণ বিভাগে। কিন্তু এখানেও টিকতে পারেননি তিনি বেশিদিন।

স্ত্রীর সাথে সাপ্তাহিক ছুটি কাটাবেন বলে রওনা দেন ছোটো একটি কার্গো প্লেনে করে; একমাত্র যাত্রী হিসাবে। প্লেনে ক্রনিয়ে ছাড়াও ছিলেন আরো দু’জন পাইলট। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে ছুটি তাঁর কাটানো হয়ে উঠেনি। কোনো এক অজানা কারণে বিধ্বস্ত হয় তাঁর সেই বিমানটি।

২০০২ সালের জুনের এক তারিখে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে নতুন জীবন শুরুর আগেই চাকরির সঙ্গে সঙ্গে দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হয় তাঁকে। তাঁর মৃত্যু রহস্য আজও অজানাই রয়ে গেছে।

তবে ধারণা করা হয়ে থাকে জুয়াড়িদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জুয়াড়িদের কথামত না খেলার কারণেই তাঁকে দেখতে হয়েছে এমন নির্মম মৃত্যু। হ্যানসি ক্রনিয়ের মৃত্যুর কারণ কি শুধুই দুর্ঘটনা নাকি অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে এর পেছনে? আজও জবাব মিলেনি সেই প্রশ্নের। আর তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই এপিটাফ রচনা হয়ে গিয়েছিল এক রাজপুত্রের জীবনের।