ভারতীয় ক্রিকেট

ধোনিকে গালমন্দ করায় অনুতপ্ত নেহরা

নাহিয়ান আরেফিন

নাহিয়ান আরেফিন
প্রকাশের তারিখ: 19:15 রবিবার, 05 এপ্রিল, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আজ থেকে ১৫ বছর আগে, ২০০৫ সালের ঘটনা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে খেলতে নেমেছিল ভারত। আহমেদাবাদে আগে ব্যাট করে পাকিস্তানকে ৩১৬ রানের লক্ষ্য বেঁধে দেয় ভারত। সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দাপুটে খেলছিলেন পাকিস্তানি দুই ওপেনার সালমান বাট এবং শহীদ আফ্রিদি।

ম্যাচের চতুর্থ ওভারে বল হাতে আসেন আশিস নেহরা। ওভারের শেষ বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে বাইরের কানায় লাগে আফ্রিদির। ক্যাচ উঠে যায় উইকেটের পেছনে কিন্তু সেটি ধরতে পারেননি উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং স্লিপে দাঁড়ানো রাহুল দ্রাবিড়।

এত সহজ সুযোগ হাতছাড়া হতে দেখে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন নেহরা। নিজ দলের খেলোয়াড় ধোনিকেই অশ্রাব্য ভাষায় কিছু গালি দিয়ে বসেন তিনি। ক্যাচ মিস হওয়াতে জীবন পান আফ্রিদি। শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ৪০ রানের টর্ণেডো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেন এই ওপেনার। অপরদিকে ৯ ওভার বল করে ৭৫ রানের খরচায় উইকেটশূণ্য থাকেন নেহরা।

এবার আসি কেন বলছি এই কাহিনি। ১৫ বছর পর ধোনি এবং নেহরার সেই গালি দেবার ভিডিও হুট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে সেদিনের ঘটনার জন্য অনুতাপ প্রকাশ করেছেন ভারত দলের সাবেক এই পেসার।

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে নেহরা বলেন, ‘ভিডিওটা মানুষের কাছে এখনও জনপ্রিয় কারণ এতে ধোনি আছে। এটা আমার একটা পুরোনো ছবির মতো, যেখানে আমি কিশোর কোহলির হাতে পুরষ্কার তুলে দিচ্ছি। সেটা বিখ্যাত কিন্তু আমার কারণে নয়, বরং কারণটা কোহলি। আমি জানি আমার সন্তানেরা একদিন ভিডিওটা দেখবে। তখন তাদেরকেও আমার বোঝানো লাগবে কেন আমি অনমটা করেছিলাম।’

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়া নিয়ে মজা করলেও, নিজের সেদিনের ব্যবহার নিয়ে ঠিকই অনুতপ্ত নেহরা। জানিয়েছেন নিজের ঐ ব্যবহার নিয়ে কোন গর্ব কাজ করে না তার মধ্যে। বরং এমনটা করা কোন ক্রিকেটারের জন্যই ঠিক নয়।

৪০ বছর বয়সী এ পেসার বলেন, ‘ঠিক আগের বলেই আফ্রিদি আমাকে ছক্কা মেরেছিল। তখনই আমি সুযোগ তৈরি করেছিলাম। কিন্তু সেটা হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় আমি মেজাজ ধরে রাখতে পারিনি। ভিডিওটায় দেখা যাচ্ছে শহিদ আফ্রিদির ব্যাটে লাগা বল ধোনি আর দ্রাবিড়ের মাঝখান দিয়ে চলে যাওয়ায় আমি গালাগাল দিচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের বাড়তি চাপও ছিল। ম্যাচের পর ধোনি এবং দ্রাবিড়- দুজনই আমার সঙ্গে স্বাভাবিক ছিল না। সে যাই হোক, আমি স্বীকার করছি যে, এমন ব্যবহার আমার করা উচিৎ হয়নি। নিজের ব্যবহারের জন্য আমি অনুতপ্ত।’