বাংলাদেশ ক্রিকেট

ক্রিকেটারদের ম্যাডিটেশনের পরামর্শ দিল বিসিবি

নাহিয়ান আরেফিন

নাহিয়ান আরেফিন
প্রকাশের তারিখ: 23:29 শনিবার, 28 মার্চ, 2020

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

সারা বিশ্বের ন্যায় করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। যার ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে দেশের সকল প্রকারের ক্রিকেট। এর প্রভাব পড়েছে খেলোয়াড়দের ভেতরেও। স্বভাবতই খেলোয়াড়রা বেশ চাপের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন।

ক্রিকেটারদের এই চাপ কাটাতে ম্যাডিটেশনের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিকেল ইউনিটের প্রধান দেবাশিস চৌধুরী। মানসিক চাপ সামলানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেটারদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য ম্যাডিটেশন করার পরামর্শ দেন তিনি।

শনিবার (২৮ মার্চ) দেবাশিস চৌধুরী ক্রিকেটারদের নয় দফা নির্দেশিকা প্রচারের বিষয়ে ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বলেন, তারা নিশ্চিত যে গাইডলাইনে প্রদত্ত বেশিরভাগ পয়েন্ট অনুসরণ করলে ক্রিকেটারদের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দেবাশিস বলেন, 'আমরা ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গাইড লাইন প্রস্তুত করেছি। গাইডলাইনে মোট নয়টি পয়েন্ট রয়েছে এবং ক্রিকেটাররা যদি এই রুটিনগুলি অনুসরণ করে তবে তারা এর থেকে উপকার পাবেন।'

বিসিবির মেডিকেল ইউনিটের প্রধান আরও বলেন, 'আমাদের প্রথম পরামর্শটি হল তাদের একটি নতুন রুটিন নির্ধারণ করা উচিত যাতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে ব্যায়ামের সময়সূচী, ডায়েটের পরামর্শ এবং ম্যাডিটেশনের সময়সূচী।'

সেই সঙ্গে তিনি খেলোয়াড়দের অনুরোধ করেন মিডিয়া পোর্টাল, টিভি বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের সকল খবর বিশ্বাস না করতে এবং আতঙ্কিত না হতে। শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যমগুলো থেকে প্রাপ্ত সংবাদ অনুসরণ করতে।

দেবাশিস বলেন, 'এই সময়ে আপনার স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টিভিতে বা মিডিয়া আউটলেটগুলোতে বা সামাজিক প্ল্যাটফর্মে অযাচিত সংবাদ দেখে বিচলিত না হয়ে বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যমগুলো অনুসরণ করা উচিৎ হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা তাদের কেবলমাত্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা সরকারী পোর্টালগুলির মতো বিশ্বস্ত উৎস থেকে সংবাদ অনুসরণ করতে অনুরোধ করছি যাতে তারা আতঙ্কিত না হন এবং মানসিক চাপে না থাকেন। কারণ আপনারা সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য জায়গাগুলিতে যে সংবাদগুলি দেখেন তা অনেকসময় সত্য হয় না।'

শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেল পর্যন্ত বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের সংক্রমণে পাঁচ জনের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত হয়েছে। সেই সঙ্গে ৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে এবং ১৫ জন রোগী ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন।