বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ

খাদ্যাভ্যাস না বদলালে ফিটনেসে উন্নতি হবে না বাংলাদেশিদের!

আবিদ মোহাম্মদ

আবিদ মোহাম্মদ
প্রকাশের তারিখ: 15:50 শনিবার, 22 ফেব্রুয়ারি, 2020

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

দেহের গঠনে যেকোনো ক্রিকেটারের থেকে আলাদা। দূর থেকে দেখে মনে হবে পালোয়ান কিংবা সিনেমার দৈত্যচরিত্র ‘হাল্ক’। লম্বা শারীরিক গঠনে বিশাল বিশাল পেশি। মিরপুরের একাডেমি মাঠে জিম্বাবুয়ের অনুশীলনের প্রথমদিন সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন এই একজন। 

জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের সঙ্গে দৌড়াচ্ছেন, খেলছেন ফুটবল। আবার তাদেরকে ধরে ধরে বুঝিয়ে দিচ্ছেন কীভাবে কোন ব্যায়াম বা অনুশীলন করতে হবে। ওয়াল্টার কারিমাঞ্জিরা নামের এই ফিটনেস ট্রেইনার জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করছেন ৯ বছর ধরে। কাজ করেছেন দেশটির যুব দলের ক্রিকেটারদের নিয়েও। 

শুরুর দিকে শারীরিক গঠন ছিল স্বাভাবিক। নিজেকে এভাবে তৈরি করতে পার করে দিয়েছেন জীবনের অর্ধেক সময়। স্কুল জীবনে ফুটবলার হলেও পরবর্তীতে ক্রিকেটকেই ভালোবেসে ফেলেছেন জিম্বাবুয়ে দলের এই ফিটনেস ট্রেইনার। বিসিবি একাদশ এবং জিম্বাবুয়ের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্যই দিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী এই ট্রেইনার।

কারিমাঞ্জিরা বলেন, `জীবনের অর্ধেক সময়টা পার করে দিয়েছি এমন শরীর বানাতে। পুষ্টিকর খাবার, ডায়েট এবং সঠিক ব্যায়ামের প্রয়োজন। সপ্তাহে পাঁচ দিন ব্যাম করলে দৈহিক গঠন পরিবর্তন হতে শুরু করবে। বেশির ভাগ সময় আমি নিজের ডায়েট নিয়ে কাজ করি। চর্বিযুক্ত খাবার না খাওয়ার চেষ্টা করি। আমি বডিবিল্ডিং ভালোবাসি।'

বড় শারীরিক গঠন এবং বড় পেশি দেখা যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের। ক্রিস গেইল, কাইরন পোলার্ড বা আন্দ্রে রাসেলরা নিজেদের এভাবেই তৈরি করেছেন। কারিমাঞ্জিরা জানালেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-জিম্বাবুয়ের মানুষজনের বংশগতভাবেই শারীরিক গঠন এমন।

কারিমাঞ্জিরা বলেন, `ক্রিকেটারদের শারীরিক গঠনের দিকে তাকালে আপনি অনেক কিছু লক্ষ করতে পারবেন। অনেক কিছু বংশগতভাবে এসে থাকে বা জিনের মাধ্যমে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের দেখুন। তাঁদের দেহের গঠন স্বাভাবিকভাবেই একটু বড় সড় হয়ে থাকে। রাসেল-গেইলরা তাই সহজে শরীর বানিয়ে ফেলতে পারে। তাই আমাদের জন্য অ্যাথলেটিক বডি সহজেই বানানো সম্ভব।'

বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কীভাবে শারীরিক দিক দিয়ে নিজেকে উন্নত করবেন, সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের এই ট্রেইনার। অনুশীলনে নিজেদের নিয়ে বাড়তি কাজ করার পাশাপাশি কয়েকটি শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজেদের ফিটনেস আরও উন্নত করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কারিমাঞ্জিরা।

জিম্বাবুয়ের এই ট্রেইনার বলেন, `বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আমি বেশি বেশি ট্রেনিং করার পরামর্শ দেব। শারীরিক গঠনের দিক দিয়ে তারা বেশি লম্বা নন। তাই তাঁদের সে অনুযায়ী ট্রেইনিং করতে হবে। সেই সঙ্গে আবাহাওয়া এবং পরিবেশও বড় ভূমিকা পালন করে। আমি আমার ছেলেদের যেভাবে নিয়ে কাজ করি ওদেরও ওইগুলোই করতে বলবো।'

'আলাদা করে জিম করার পরামর্শ দেব। খাবারের অভ্যাস বা রুটিন পরিবর্তন করতে হবে। না হলে সম্ভব না। এগুলো পরিবর্তন না করলে কেউই ফিটনেসে পরিবর্তন আনতে পারবে না। চিনি খাওয়া যাবে না। আপনি কি খাচ্ছেন আর কি বের করছেন সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। পরিষ্কার খাবার খেতে হবে। এসব ছোট ছোট বিষয়ই আপনার ফিটনেস লেভেলে উন্নতির ক্ষেত্রে বড় ভুমিকা পালন করে।' আরও যোগ করেন কারিমাঞ্জিরা।