বিসিএল

শামসুরের সেঞ্চুরিতে বাজি জিতলেন রাজ্জাকরা

ইনতেছার

ইনতেছার
প্রকাশের তারিখ: 17:36 সোমবার, 17 ফেব্রুয়ারি, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে শামসুর রহমান শুভর সেঞ্চুরি ও নাসুম আহমেদের অসাধারণ ধৈর্যশীল একটি ইনিংসে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ড্র করেছে দক্ষিণাঞ্চল। এর ফলে পয়েন্টে এগিয়ে থেকে টুর্নামেন্টেের ফাইনালে উঠেছে তারা।

৫০৭ রানের বিশাল লক্ষ্য ছিল দক্ষিণাঞ্চলের সামনে। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে আগের দিন চার উইকেটে ১৫৯ রান করে দক্ষিণাঞ্চল। শেষদিনে জয়ের জন্য ৩৪৮ রান প্রয়োজন ছিল তাদের। কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে শেষদিনে চমক দেখান দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটসম্যানরা।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলেছেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান শুভ ও নাসুম আহমেদ। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ২০তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শামসুর। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ফিরে যাওয়ার আগে তিনি করেন ১৩৩ রান। ইনিংসে ছিল ১৮টি চার ও একটি ছয়ের মার।

শামসুর-নাসুম মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে তোলেন ১৩৯ রান। শামসুর ফিরলেও লড়াই চালিয়ে যান নাসুম। নুরুল হাসান ও মেহেদী হাসানরা দ্রুত বিদায় নিলে আরও চাপে পড়ে দক্ষিণাঞ্চল। একপ্রান্ত আগলে রাখা নাসুম বিদায় নেন ৮৫ রানে। ২৪৬ টি বলের এই ইনিংসে ছিল নয়টি চার ও একটি ছক্কার মার।

মূলত নাসুমের এমন ইনিংসেই ম্যাচটি ড্র করতে পেরেছে দক্ষিণাঞ্চল। ম্যাচ সেরাও হন নাইটওয়াচ ম্যান নাসুম। নাসুম ফিরলে ৮৩ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন ফরহাদ রেজা। তাঁর সঙ্গী শফিউল ইসলাম ২৬ বল খেলে এক রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে মধ্যাঞ্চল তাদের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ২৩৫ রান। জবাবে দক্ষিণাঞ্চল চার উইকেটে ১১৪ রান তুলেই ইনিংস ঘোষণা করে। মূলত প্রতিপক্ষকে .০৫ পয়েন্ট বোনাস না দেয়ার জন্যই এই কৌশল প্রয়োগ করে দক্ষিণাঞ্চল। শেষ পর্যন্ত এই কৌশলেই ম্যাচ জিতেছে তারা।

এর আগে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে অভিনব এক পন্থা অবলম্বন করে আব্দুর রাজ্জাকদের দক্ষিণাঞ্চল। টুর্নামেন্টের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ১২১ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা করে তারা! 

মূলত প্রতিপক্ষকে .০৫ পয়েন্ট বোনাস না দেয়ার জন্যই এই কৌশল প্রয়োগ করে দক্ষিণাঞ্চল। বিসিএলের নিয়ম অনুযায়ী কোনো দল যদি ১০০ ওভারের মধ্যে প্রতিপক্ষের ৫ উইকেট তুলে নিতে পারে তাহলে .৫০ পয়েন্ট বোনাস পাবে। 

প্রথম ইনিংসে মধ্যাঞ্চল ২৩৫ রানে অলআউট হওয়ার পর খেলতে নেমে ১১৪ রানের মাথায় ২৮.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে দক্ষিণাঞ্চল। পরবর্তীতে সবাইকে হতবাক করে দিয়ে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও ইনিংস ঘোষণা করে দেয় তারা। ফলে বোনাস পয়েন্ট থেকে বঞ্চিত হয় শুভাগত হোমের নেতৃত্বাধীন মধ্যাঞ্চল। 

এই রাউন্ড শুরুর আগে ১৬.৩৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিল দক্ষিণাঞ্চল। আর মধ্যাঞ্চলের পয়েন্ট ছিল ৯.৫। ম্যাচটি জিতলে তাদের পয়েন্ট হতো ১৭.৫। কিন্তু জয় না পাওয়ায় ফাইনালে উঠা হয়নি তাদের।  

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংসঃ ২৩৫/১০ (৮২.২ ওভার) (মার্শাল ১১৬, মুস্তাফিজ ৩০*; মেহেদি ৩/৭৮, শফিউল ২/২৪)  

দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংসঃ  ১১৪/৪ (২৮.২ ওভার) (ইনিংস ঘোষণা) (নুরুল ৪৮*, শামসুর ২৫; ইফরান ২/৪২, শুভাগত ১/০) 

মধ্যাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংসঃ ৩৮৫/৮ (১০৭ ওভার) (ইনিংস ঘোষণা) (শান্ত ২৫৩*, রকিবুল ৩৯; নাসুম ৪/৮৫, শফিউল ২/৪৮) 

দক্ষিণাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংসঃ  ৩৮৬/৯ (১৪৪ ওভার) (শামসুর ১৩৩, নাসুম ৮৫, বিজয় ৮৩; মিরাজ ৪/১৩৬, শুভাগত ৩/৫৯)