বিপিএল

ক্রিকফ্রেঞ্জির চোখে বিপিএলের সেরা একাদশ

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:00 শনিবার, 18 জানুয়ারি, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) শেষ হয়েছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিবিপিএল)। জমজমাট ফাইনালে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে বিপিএলের বিশেষ এই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাজশাহী রয়্যালস। সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে ব্যাট-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখানো ক্রিকেটারদের নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে ক্রিকেট বিষয়ক পোর্টাল ক্রিকফ্রেঞ্জি।

পাঠকদের জন্য একাদশটি তুলে ধরা হলোঃ

লিটন দাসঃ এবারের বিপিএলে সম্পূর্ণ নতুন লিটন দাসকে দেখেছে ক্রিকেটমোদীরা। দুর্দান্ত শট নির্বাচন করে ব্যাট হাতে সফল হয়েছেন তিনি। যদিও ফাইনাল ম্যাচে অবদান রাখতে পারেননি তিনি। তবু শিরোপা ঘরে তুলেছে দল রাজশাহী রয়্যালস। লিটন ১৫ ম্যাচ খেলেছেন এবারের আসরে, যেখানে ৩ হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৫৫ রান করেছেন তিনি। আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক লিটন।

আফিফ হোসেনঃ জাতীয় দলে ওপেনিংয়ে সুযোগ হয় না আফিফ হোসেনের। রাজশাহীর হয়ে ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছেন। লিটন এবং আফিফের জুটি এবারের বিপিএলে সবচেয়ে সফল। সাতটি পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। আফিফ ১৫ ম্যাচে এক হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৭০ রান করেন। তিনি বল হাতেও দলের হয়ে অবদান রেখেছেন। এই অফ স্পিনার নিয়মিত বোলিং না করলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলকে উইকেট এনে দিয়েছেন। তাঁর উইকেট ৭টি, বোলিং করেছেন ১০ ইনিংসে। 

রাইলি রুশোঃ ব্যাট হাতে অসাধারণ ছিলেন খুলনা টাইগার্সের রাইলি রুশো। আসর জুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখানো রুশো ফাইনালে এসে বড় রান করতে পারেননি। যা খুলনার হারের অন্যতম কারণ, ম্যাচ শেষে জানিয়েছিলেন অধিনায়ক মুশফিক। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান রুশো ১৪ ম্যাচে ৪৯৫ রান করেন, তিনি বিপিএলের এই আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তাঁর নামের পাশে রয়েছে ৪টি হাফ সেঞ্চুরি।

মুশফিকুর রহিমঃ ব্যাটসম্যান মুশফিকের পাশাপাশি অধিনায়ক মুশফিকও এবারের বিপিএলে ছিলেন অসাধারণ। তিনি নেতৃত্বগুণে খুলনাকে ফাইনালে তুলেন, সঙ্গে আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। ১৪ ম্যাচ খেলা মুশফিক করেন ৪৯১ রান, যেখানে তিনি করেন ৪টি হাফ সেঞ্চুরি।

ইমরুল কায়েসঃ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। অপরাজিত থেকে দলকে বেশ কয়েকটি ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৩ ম্যাচে ৪৪২ রান করেন, যেখানে হাফ সেঞ্চুরি করেন ৪টি। 

আন্দ্রে রাসেলঃ ব্যাট হাতে কতোটা ভয়ঙ্কর আন্দ্রে রাসেল, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে সেটা দেখান তিনি। তাঁর ব্যাটে ভর করেই রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচটি জিতে ফাইনালে জায়গা করে নেয় রাজশাহী। ১৩ ম্যাচের ১১ ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাওয়া ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান এক হাফ সেঞ্চুরিতে করেন ২২৫ রান। ডানহাতি এই পেসার বল হাতেও ছিলেন কার্যকরী। ১৩ ম্যাচে ১৪ উইকেট নেন তিনি।

মেহেদী হাসানঃ ঢাকা প্লাটুনের হয়ে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত ছিলেন মেহেদী হাসান। ১৩ ম্যাচে ১৩৬.০২ স্ট্রাইকরেটে ২৫৩ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান, যেখানে ৩টি হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। বল হাতে ৬.৭৬ ইকোনমিতে ১২ উইকেট নেন এই অফ স্পিনার।

মুজিব উর রহমানঃ এবারের বিপিএলে একমাত্র স্পিনার হিসেবে সফল ছিলেন কুমিল্লার হয়ে খেলা আফগান অফ স্পিনার মুজিব উর রহমান। ১২ ম্যাচে মাত্র ৫.০৬ ইকোনমিতে ১৫ উইকেট নেন তিনি। ২ বার ৪ উইকেট নেন এই স্পিনার।

মুস্তাফিজুর রহমানঃ বিপিএলের শুরুতে ছন্দের খোঁজে ছিলেন রংপুর রেঞ্জার্সের হয়ে খেলা বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। মাঝে এসে হারানো ছন্দ খুঁজে পান তিনি। দুর্দান্ত বোলিং করে বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার তিনি। ১২ ম্যাচে ৭.০১ ইকোনমিতে ২০ উইকেট নেন মুস্তাফিজ।

মোহাম্মদ আমিরঃ আসরে ২০ উইকেট পেয়েছেন খুলনার বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ আমিরও। তিনি দুর্দান্ত বোলিং করে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের জয় অবদান রাখেন। ১৩ ম্যাচ খেলা আমির ৭.০৫ ইকোনমিতে বোলিং করেন। ১৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করেন আমির। যা বিপিএল ইতিহাসেরও সেরা বোলিং।

রুবেল হোসেনঃ এবারের বিপিএলে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন অভিজ্ঞ পেসার রুবেল হোসেন। ১৩ ম্যাচ খেলা ডানহাতি এই পেসারও নেন ২০ উইকেট। চট্টগ্রামের হয়ে খেলা এই পেসারের ইকোনমি ছিল ৭.৩১। 

ক্রিকফ্রেঞ্জির বঙ্গবন্ধু বিপিএল একাদশঃ লিটন দাস, আফিফ হোসেন, রাইলি রুশো, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), ইমরুল কায়েস, আন্দ্রে রাসেল, মেহেদী হাসান, মুজিব উর রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আমির ও রুবেল হোসেন।