|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
প্রোডাকশন ইস্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সেই ভুলগুলো শুধরে ফেলতে চায় বিসিবি। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন চৌধুরী সুজন এমনটাই জানিয়েছেন।
বিপিএলের আগের মৌসুমগুলোয় আল্ট্রা এজ, স্নিকো মিটার বা হটস্পট টেকনলজি না থাকায় সমালোচনায় পড়তে হয়েছে বিপিএলকে। এ ছাড়া ব্রডকাস্টিং নিয়েও বিপাকে পড়তে হয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে।
যে কারণে এবার আগেই সব কিছুর ব্যবস্থা করেছে বিসিবি। লাগানো হচ্ছে স্পাইডার ক্যাম এবং ড্রোন। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার লাগানো হয়েছে স্পাইডার ক্যাম। চট্টগ্রাম এবং সিলেট পর্বে থাকবে ড্রোন।
নিজাম উদ্দিন চৌধুরী এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা প্রোডাকশনের ব্যাপারে যথেষ্ট গুরত্ব দিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করি প্রযুক্তির দিক থেকে যতটা ভালো জিনিস আছে, সেগুলো এর মধ্যে আনা হয়েছে এবং কাজ চলছে।’
‘আমরা নরমালি ড্রোন, স্পাইডার ক্যাম এগুলো ব্যাবহার করব। তাতে হয়তো আপনারা স্পাইডার ক্যাম ব্যবহার দেখতে পারবেন এখানে। বাইরের ভেন্যুগুলো যেমন চট্টগ্রাম, সিলেটে আমরা ড্রোন ব্যবহার করব।' নিজাম উদ্দিন আরও যোগ করেন।
ভালো মানের ধারাভাষ্যকার না থাকায় অতীতে অনেক সমালোচনা হয়েছে। এবার এই সমস্যার সমাধানেও মন লাগিয়েছে বিসিবি। তবে ধারাভাষ্যকার যাদের আনা হয়েছে, তাদের নাম খোলাসা করেননি বিসিবির প্রধান নির্বাহী।
প্রোডাকশনের কাজে থাকা এক কর্মকর্তা অবশ্য ক্রিকফ্রেঞ্জিকে জানালেন ভিন্ন কথা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কারণে নিজেদের কাজ সময় মতো করতে পারেননি তারা। যে কারণে সময় মতো সব কিছু হওয়া নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।
তিনি বলেন, ‘কঠিন হবে। কারণ দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে সব কিছু ঠিক করতে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করছি, তারপরও নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কারণে আমরা আমাদের কাজ সময় মতো শুরু করতে পারিনি।’