|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ভয় পেয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। গত চার-পাঁচ বছরে দলকে এতোটা ভয় পেতে দেখেননি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের থেকে শুরু করে তরুণ ক্রিকেটারদের সবাই এবার ঘাবড়ে গিয়েছে বলে মত পাপনের।
সোমবার গণমাধ্যমকে পাপন বলেন, 'ভাবিনি যে আমাদের ব্যাটিংয়ের এই অবস্থা হবে। আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটারদের থেকে শুরু করে সকলেই মনে হচ্ছিল খুব ঘাবড়ে গেছে।
ভয় পাওয়াটা এতো বছর দেখিনি। চার-পাঁচ বছর সাহস নিয়ে খেলতাম। এবার কেন যেন মনে হয়েছে আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এটা হারের একটি কারণ হতে পারে।'
বিসিবি সভাপতির কথার পরিষ্কার চিত্র দেখা গিয়েছে ইন্দোর এবং কলকাতা টেস্টে। দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশ হেরে যায় ইনিংস ব্যবধানে। লড়াই করার মতো মানসিকতাও দেখা যায়নি দলের সিংহভাগ ক্রিকেটারের মধ্যে।
কলকাতা টেস্টে ইনজুরির কারণে বেশীক্ষণ খেলতে পারেননি লিটন দাস এবং নাঈম হাসান। স্কোয়াডের অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান সাইফ হাসানও ভোগেন ইনজুরিতে। ফলে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামকে বদলি নামাতে হয় বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ইনিংসে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহও পড়েন ইনজুরিতে। বড় হারের পেছনে ইনজুরিও একটা কারণ, মনে করছেন পাপন।
'ইনজুরি আমাদের ভালোই ভুগিয়েছে। আপনি যদি দেখেন যে প্রথম ইনিংসে কিছুটা ভালো খেলেছিল লিটন দাস, ভালোই খেলেছে সে। এরপর ইনজুরিতে পড়ে গেল। তারপরে ওর বদলি যাকে নামানোর কথা ছিল সে (সাইফ) দুদিন আগেই ইনজুরিতে পড়ে।
আমাদের ধারণা ছিল সে খেলার আগেই ফিট হবে। তারপর আগের দিন দেখলাম যে না, ফিট হয়নি। সেদিক থেকে চিন্তা করলে আমরা যে দুজন কনকাশন করলাম এতে আমাদের ক্ষতি হয়েছে।'