ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড

ওয়াটলিং, স্যান্টনার, ওয়েগনারে ইনিংস ব্যবধানে হারল ইংল্যান্ড

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 10:52 সোমবার, 25 নভেম্বর, 2019

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বিজে ওয়াটলিংয়ের নান্দনিক ব্যাটিং, মিচেল স্যান্টনারের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স এবং নেইল ওয়েগনারের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। মাউন্ট ম্যাঙ্গানুইতে সফরকারীদের ইনিংস এবং ৬৫ রানের ব্যবধানে হারিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।

টস জিতে আগে ব্যাটিং করা ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায়। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে হোঁচট খেলেও ওয়াটলিংয়ের ডাবল সেঞ্চুরি এবং স্যান্টনারের সেঞ্চুরিতে ৬১৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে কেন উইলিয়ামসনের দল। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ক্যারিয়ার সেরা ২০৫ রানের ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ওয়াটলিং এবং স্যান্টনারও খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ১২৬ রানের ইনিংস। ২৬২ রানের লিড নিয়ে জো রুটের দলকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কিউইরা।

চতুর্থ দিনের শেষের দিকে আবার ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড স্যান্টনারের ঘূর্ণিতে ৫৫ রানে ৩ হারায়। পঞ্চম দিনের শুরুতে স্বাগতিক বোলারদের কোনো উইকেট দেননি জো ডেনলি এবং বেন স্টোকস। দিনের প্রথম সেশন উইকেট শূন্য কাটে নিউজিল্যান্ডের।

বাঁহাতি ব্যাটসম্যান স্টোকসকে ২৮ রানে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন টিম সাউদি। এরপর সফরকারী দলের ওপর চড়াও হন কিউই পেসার ওয়েগনার। ১২১ রানে ৫ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে আর দাঁড়াতেই দেননি বাঁহাতি এই পেসার। ১৯৭ রানেই গুঁটিয়ে দেন তাদের।

ইংল্যান্ডের শেষ ৫ উইকেট একাই তুলে নেন তিনি। উইকেটে থিতু হওয়া ডেনলিকে ৩৫ রানে ফেরান ওয়েগনার। এরপর ওলি পোপ, জস বাটলারকে দ্রুত সাজঘরের পথ দেখান ৩৩ বছর বয়সী এই পেসার।

শেষের দিকে স্যাম কারান এবং জফরা আর্চার জুটি গড়ে দলকে ইনিংস ব্যবধানের হার থেকে রক্ষা করতে জুটি গড়েন। তাঁদের ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন ওয়েগনার। ইংল্যান্ডের হয়ে স্যাম কারান ২৯ রান নিয়ে উইকেটে অপরাজিত ছিলেন।

প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেয়া এই পেসার দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। তাঁকে সঙ্গ দিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করে ৩ উইকেট নিয়েছেন স্যান্টনার।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসঃ ১২৪ ওভারে ৩৫৩/১০ (স্টোকস ৯১, ডেনলি ৭৪; সাউদি ৪/৮৮, ওয়েগনার ৩/৯০)।

নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসঃ ২০১ ওভারে ৬১৫/৯ ডিঃ (ওয়াটলিং ২০৫, স্যান্টনার ১২৬; স্টোকস ২/৭৪, কারান ৩/১১৯)।

ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসঃ ৯৬.২ ওভারে ১৯৭/১০ (ডেনলি ৩৫, বার্নস ৩১; ওয়েগনার ৩/৪৪, স্যান্টনার ৩/৫৫)।