বিশ্বকাপ

বিশ্বকাপ দল পরিচিতিঃ বাংলাদেশ

জুবাইর

জুবাইর
প্রকাশের তারিখ: 09:42 বৃহস্পতিবার, 30 মে, 2019

|| ডেস্ক রিপোর্ট || 

সর্বপ্রথম ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি ট্রফিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আবির্ভাব ঘটে বাংলাদেশের। ৭ বছর পর ১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ এশিয়া কাপে সর্বপ্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে, প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের মাধ্যমে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ।

১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশ পাকিস্তান ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে তাক লাগিয়ে দেয়। বিশ্বকাপের পারফর্মেন্সের সুবাদে ২০০০ সালে এসে দশম দেশ হিসেবে টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জন করে বাংলাদেশ। সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বের অন্যতম সেরা দলে পরিণত হয়েছে।

বর্তমানে ওয়ানডে ক্রিকেটে আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে সপ্তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে যথাক্রমে নবম ও দশম অবস্থানে আছে তারা। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য এসেছে ২০১৫ সালে। গত বিশ্বকাপে মাশরাফির বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মত কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয়।

২০১১ সালেও ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। একই সাথে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ৫৮ রানে অল আউটের লজ্জা পেতে হয়েছিল। ২০১১ সালে শেষ আটে জায়গা করে নেয়ার সুযোগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। ২০০৭ বিশ্বকাপ আবার স্মরণীয় করতে সক্ষম হয়েছিল টাইগাররা। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মত বড় দলকে হারিয়ে সুপার এইটে জায়গা পাকা করেছিল বাংলাদেশ।

তবে বাংলাদেশ দলের সমর্থকরা ২০০৩ বিশ্বকাপের স্মৃতি ভুলে যেতে চাইবে। গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া বাংলাদেশ একটি ম্যাচেও জয়ের দেখা পায়নি। অথচ ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতন বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে পাকিস্তান ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছিল তৎকালীন নতুন দল বাংলাদেশ। তবে ২০১৯ সালে বড় স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে নেমেছে বাংলাদেশ। অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারের সাথে তারুণ্যের মিশেলে গড়া এবারের বিশ্বকাপ দল গত আসরের সাফল্যকে ছাপিয়ে যেতে চাইবে।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শক্তির জায়গা বলতে গেলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের নাম নিতে হয়। মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ...এই পাঁচ জনের মধ্যে প্রায় এক হাজার ওয়ানডে ম্যাচের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই তালিকায় সহজেই রুবেল হোসেনের নাম জুড়ে দেয়া যায়। গত দশ বছর ধরে এই পাঁচ-ছয় জন ক্রিকেটার বাংলাদেশ দলে নিয়মিত মুখ। দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পালাবদলটা খুব কাছে থেকে দেখা সিনিয়রদের জন্য এবারের বিশ্বকাপ একটু বাড়তি প্রেরণাদায়ক।

বাংলাদেশ দলের বোলিং আক্রমণে কোনো সত্যিকারের ফাস্ট বোলার নেই। মাশরাফি, মুস্তাফিজ, রুবেলদের কেউই ধারবাহিকভাবে ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে সক্ষম নন। স্পিন আক্রমণ সাকিব ও মিরাজ থাকলেও নেই কোনো লেগ স্পিনার।

বাংলাদেশের স্কোয়াড বিশ্লেষণঃ

মাশরাফি বিন মুর্তজাঃ বাংলাদেশের হয়ে পর পর দুই বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তাঁর নেতৃত্বগুণ বিশ্বকাপে বাকি অধিনায়কদের থেকে মাশরাফিকে আলাদা করবে। এছাড়া বল হাতে বাংলাদেশ বোলিং আক্রমণের অন্যতম স্তম্ভের নাম মাশরাফি। ২০৭ ওয়ানডে ম্যাচের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মাশরাফির নামের পাশে আছে ২৬৫ উইকেট। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করবে নেতা ও পারফর্মার মাশরাফির ওপর।

সাকিব আল হাসানঃ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। ১৯৭ ওয়ানডে খেলা সাকিব সাড়ে পাঁচ হাজার রানের মালিক। ওয়ানডেতে আড়াইশ উইকেট আছে তাঁর নামের পাশে। আসন্ন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার তিনি। ব্যাটে বলে দলের জন্য সর্বোচ্চ নিংড়ে দিতে চাইবেন সাকিব।

মুশফিকুর রহিমঃ ২০৩ ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশ মিডেল অর্ডারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পূর্ণ সদস্য। চাপের মুখে দলকে বহুবার বিপদমুক্ত করেছেন ব্যাটসম্যান মুশফিক। উইকেটকিপার হিসেবেও যথেষ্ট উন্নতি করেছেন তিনি। তিনটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মুশফিক এবারের বিশ্বকাপে নিজের সর্বোচ্চ নিংড়ে দিতে চাইবেন। 

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদঃ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বড় মঞ্চে বরাবরই সফল। ২০১১ সাল ও ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানোর পেছনে বড় অবদান রেখেছেন তিনি। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন রিয়াদ। ২০১৯ বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ চেয়ে থাকবে রিয়াদের ম্যাজিক ব্যাটের দিকে।

তামিম ইকবালঃ তামিম ইকবাল ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ থেকেই বাংলাদেশ দলের টপ অর্ডারের নিয়মিত সদস্য। তামিমের লম্বা ইনিংসের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাফল্য। ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে থাকা তামিমকে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরিকল্পনা সাজানো হয়। তামিম এখন পর্যন্ত ১৯১ ম্যাচ খেলে সাড়ে ছয় হাজার রান করেছেন, ১১টি ওয়ানডে সেঞ্চুরির মালিক এই বাঁহাতি ওপেনার।

মুস্তাফিজুর রহমানঃ গত বছর ওয়ানডে ক্রিকেটে পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। মাত্র ৪৬ ম্যাচ খেলে ২২ গড়ে ৮৩ উইকেট মুস্তাফিজ প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন। ছোট্ট ক্যারিয়ারে তাক লাগানো পারফর্ম করে বাংলাদেশের অন্যতম ভরসার নাম বনে গেছেন তিনি। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো করতে পারেননি মুস্তাফিজ। এবার বিশ্বকাপে বড় কিছু করে দেখাতে চাইবেন তিনি।

রুবেল হোসেনঃ বাংলাদেশের ইতিহাসে মাশরাফির পর সত্যিকারের ফাস্ট বোলারদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে একমাত্র রুবেল হোসেনকে। গতির ঝড় তুলে চোখের পলকে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার বেশ কিছু উদাহরণ আছে রুবেলের। তবে সম্প্রতি রুবেলের সেই চেনা গতিতে ভাটা পড়েছে। সাথে যোগ হয়েছে বেশ কিছু ইনজুরিও। বিশ্বকাপের আগে সম্পূর্ণ সুস্থ রুবেলকে পায় নি বাংলাদেশ। তবে মূল আসরে শতভাগ দিতে চাইবেন গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা জয়ের নায়ক রুবেল হোসেন।

মেহেদি হাসান মিরাজঃ ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ফ্রন্ট লাইন স্পিনার হিসেবে মিরাজের জন্য এবারের বিশ্বকাপে কঠিন পরীক্ষা দিতে হতে পারে। দেশের বাইরে ফ্ল্যাট উইকেটে মিরাজের রেকর্ড খুব সমৃদ্ধ নয়। এখন পর্যন্ত ২৮ ম্যাচ খেলা মিরাজকে উইকেট শিকারি বোলার হিসেবে পেতে চাইবে বাংলাদেশ। একই সাথে লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতেও দলের বিপদে মিরাজকে পেতে চাইবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলের ফিল্ডারদের মধ্যে অন্যতম সেরা তিনি। তিন বিভাগেই দলকে অনেক কিছু দেয়ার আছে এই তরুণ ক্রিকেটারের।

মোসাদ্দেক হোসেনঃ গত দুই বছর ধরে দলে আসা যাওয়ার মধ্যে থাকলেও ঠিক বিশ্বকাপের আগে ঢাকা লীগের পারফর্মেন্স দিয়ে জায়গা পাকা করেছেন মোসাদ্দেক। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে এসে ম্যাচ জেতানো ফিফটি হাঁকিয়ে নিজের ভাগ্যের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপের মূল একাদশের চিন্তায় চলে এসেছেন তিনি। সুযোগ পেলে কেমন করেন সেটাই দেখার বিষয়। এখন পর্যন্ত ২৬ ওয়ানডে খেলে ৩৪ গড় ও ৮৪ স্ট্রাইক রেটে ৪০৭ রান করেছেন, এটাই মোসাদ্দেকের প্রথম বিশ্বকাপ।

আবু জায়েদঃ মাত্র দুটি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপ যাচ্ছেন পেসার আবু জায়েদ। কিন্তু ছোট্ট ক্যারিয়ারেই একবার পাঁচ উইকেট শিকার করে ফেলেছেন তিনি। সুইং রাহির প্রধান অস্ত্র। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে যদি খানিকটা সুবিধা পাওয়া যায়, সেটা লুফে নিতে পারবেন এই ডানহাতি পেসার।

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনঃ বিশ্বকাপে পেস বোলিং অলরাউন্ডারদের দায়িত্বের জায়গা বৃহৎ। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকেও বাংলাদেশের হয়ে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। ১৩ ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ারে ১১ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। নতুন বলে মাশরাফির সাথে ইনিংসের সূচনা করতে হতে পারে সাইফউদ্দিনকে। ডেথ ওভারেও কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তাঁকে। একই সাথে ব্যাট হাতে লোয়ার অর্ডারে কার্যকরী রান দেয়ার সামর্থ্য রাখেন সাইফউদ্দিন।

মোহাম্মদ মিঠুনঃ গত দশ বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের আশপাশ দিয়ে ঘুর ঘুর করলেও কখনই বড় মঞ্চের জন্য প্রস্তুত মনে হয়নি মোহাম্মদ মিঠুনকে। টি-টুয়েন্টি দলে বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। ২০১৬ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপও খেলেছেন তিনি। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে এসে শেষ পর্যন্ত ভাগ্য খুলে তাঁর। নিজের পছন্দের মিডেল অর্ডারে সুযোগ পেয়ে দারুণ দুটি ইনিংস খেলেছেন, চাপের মুখে পারফর্ম করে নিজেকে চেনান তিনি। নিউজিল্যান্ড সফরেও দলের প্রয়োজনে ভালো ইনিংস খেলেছেন তিনি। ধারবাহিকতার কারণে টিকেট মিলে বিশ্বকাপের। বিশ্বকাপের মত বড় আসরে কেমন করেন এই ডানহাতি ক্ল্যাসিকাল ব্যাটসম্যান, সেটাই দেখার বিষয়।

লিটন দাসঃ প্রতিভাবান শব্দটি বাংলাদেশ ক্রিকেটে লিটন দাসের নামের পাশে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়ে আসছে। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ছোট্ট ক্যারিয়ারে বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেছেন তিনি। ২৮ ওয়ানডে খেলে এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটিতে সাড়ে পাঁচশর মত রান করেছেন তিনি। ধারাবাহিকতা লিটন দাসের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। তবে নিজের দিনে বিশ্বের যে কোনো বোলিং আক্রমণকে চমকে দেয়ার সামর্থ্য রাখেন তিনি। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি তাঁর প্রমাণ। প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ খেলতে নামা লিটন বিশেষ কিছু করে দেখাতে মুখিয়ে থাকবেন।

সাব্বির রহমানঃ অধিনায়কের বিশেষ চাওয়ায় মার্চের নিউজিল্যান্ড সিরিজ ও আরও ভেঙ্গে বলতে গেলে, বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া সাব্বির রহমানের জন্য এবারের বিশ্বকাপের চেয়ে বড় মঞ্চ হতেই পারে না। ২০১৯ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে সাব্বিরের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। ৫৪ ইনিংস খেলে ২৫ গড়ে ১২১৯ রনা করেছেন তিনি। একটি সেঞ্চুরি ও পাঁচটি ফিফটি হাঁকিয়েছেন তিনি। সেঞ্চুরিটি এসেছে এ বছরের নিউজিল্যান্ড সিরিজে। বাংলাদেশ স্কোয়াডের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯১ স্ট্রাইক রেটে রান তোলা ব্যাটসম্যান সাব্বির। তবে বিশ্বকাপের একাদশে সুযোগ পেলে সাব্বিরের কাছে ধারাবাহিকভাবে বড় স্কোর দেখতে চাইবে বাংলাদেশ।

সৌম্য সরকারঃ ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাফল্যে বড় অবদান ছিল সৌম্য সরকারের। ক্যারিয়ারের শুরুতে অবিশ্বাস্য ফর্মে থাকা সৌম্য সরকার খুব দ্রুতই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখে ফেলেছেন। তবে কখনই নিজের সহজাত ব্যাটিং ছেড়ে দেন নি। যার ফলাফল পাচ্ছেন তিনি। নিউজিল্যান্ড সিরিজে টেস্ট বাঁচাতে গিয়ে অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরির পর ঢাকা লীগের শেষের দিকে এসে সেঞ্চুরি ও ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বসেন তিনি। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পেছনে মুখ্য ভূমিকা রয়েছে সৌম্যর। দরজায় কড়া নাড়ছে আরেকটি বিশ্বকাপ। সৌম্য একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান, যার ওয়ানডে  স্ট্রাইক রেট প্রায় একশ, একই সাথে গড় ৩৬। বিশ্বকাপের জন্য নিজের ক্যারিয়ারের সেরা ব্যাটিংটা জমা রাখতে চাইবেন এই বাঁহাতি ওপেনার।