সিপিএল

বিপিএলের সিঁড়ি বেয়ে সিপিএলে

জুবাইর

জুবাইর
প্রকাশের তারিখ: 17:59 বৃহস্পতিবার, 23 মে, 2019

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

বিপিএলে রাজশাহী কিংস, খুলনা টাইটান্স ও সিলেট সিক্সার্সের হয়ে খেলেছেন আফিফ হোসেন। কিংস ও টাইটান্সের হয়ে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও সিক্সার্সের হয়ে টপ অর্ডারে নিয়মিত ব্যাট করার সুযোগ পান তিনি। ডেভিড ওয়ার্নারের সাথে পাল্লা দিয়ে বেশ কিছু নজরকাড়া ইনিংস খেলেছেন তিনি। ১২ ম্যাচে ২০.৬৬ গড় এবং ১২৪.০০ স্ট্রাইক রেটে ২৪৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন আফিফ।

বিপিএলের সাফল্যেই ধরা দেয় সিপিএল। ড্রাফট থেকে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে দলে ভেড়ায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস পেট্রিয়ট। একই দলে আছেন খুলনা টাইটান্সের হয়ে খেলে যাওয়া কার্লোস ব্যাথওয়েট। বিপিএলে একই দলে খেলায় ব্র্যাথওয়েটকে ভালো করেই চেনা আছে আফিফের। সিলেট সিক্সার্সের হয়ে একই দলে খেলেছেন আন্দ্রে ফ্লেচার, নিকোলাস পুরানদের সাথে। বিপিএলে ভালো করতে সিপিএলের দুয়ার খুলতে পারে, এমন আগাম বার্তা পেয়েছিলেন আফিফ। তাঁর ভাষায়,

'বিপিএলে আমার সাথে যারা খেলেছিল তাঁদের মধ্যে অনেকেই ছিল ড্রাফটে। তাঁরা এর আগে আমাকে বলেছিল যে বিপিএলে যদি ভালো খেলো তাহলে......খুলনায় যেমন ব্র্যাথওয়েটের সাথে খেলেছি। এবার ফ্লেচার ছিল, পুরান ছিল। তারাই বলছিল যে বিপিএলে যদি ভালো খেলো তাহলে তোমার সুযোগ থাকতে পারে।

'আসলে এদের অনেকের সাথে বিপিএলে আমার খেলা হয়েছে। এরপরেও অনেক নতুন নতুন ক্রিকেটার থাকবে। তবে আশা করি আমার তেমন কোনও সমস্যা হবে না। ওখানে যারা আছে পরিচিত সিনিয়র ক্রিকেটারা যাদের সাথে আমি বিপিএলে এরই মধ্যে খেলেছি। কালকেও কথা হয়েছে ওদের সাথে। আশা করি ওদের সাথে আমি সহজেই মানিয়ে নিতে পারব।' 

বিপিএলের পর ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ টি-টুয়েন্টিতেও ভালো ফর্মে ছিলেন আফিফ। ৫০ ওভারের ঢাকা লীগে উল্লেখযোগ্য সাফল্য না থাকলে রানের মধ্যে ছিলেন তিনি। তাই সিপিএলের আগে খুব বেশি চিন্তিত নন তরুণ আফিফ। 

'আসলে বিপিএল আর সিপিএল দুটিই টি টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট। আমি তো ওখানে এখনও খেলি নি। সুতরাং ওখানে কি হবে সেটি তো এখনই বলতে পারছি না। তবে বিপিএলে ভালো খেলার আত্মবিশ্বাসটি তো থাকবেই। আমি যেন ওখানে গিয়েও ভালো খেলতে পারি সেটাই লক্ষ্য থাকবে।'