বাংলাদেশ- জিম্বাবুয়ে সিরিজ

সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিন জিম্বাবুয়ের

আবিদ মোহাম্মদ

আবিদ মোহাম্মদ
প্রকাশের তারিখ: 17:16 রবিবার, 04 নভেম্বর, 2018

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ব্যাকফুটে রয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১ রান। 

বাংলাদেশের থেকে ১৪০ রানে এগিয়ে থেকে দিন শেষ করেছে হ্যামিল্টন মাসাজাদজার দল। দলের পক্ষে দুই ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ১ এবং ব্রায়ান চারি ০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। 

দ্বিতীয় দিন জিম্বাবুয়েকে ২৮২ রানে গুটিয়ে দেয়ার পর ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪৩ রানেই অল আউট হয় বাংলাদেশ। যেকারণে নিঃসন্দেহে বলা যাচ্ছে সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিন গিয়েছে জিম্বাবুয়ের পক্ষে।

এর আগে দিনের শুরুতে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা। ১৪৬ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন মুর এবং চাকাবার সাথে গড়েছিলেন ৬০ রানের জুটি। এরপরই তাইজুলের ঘূর্ণির সামনে দিসেহারা হয়ে পড়েন তাঁরা। 

বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল, চাকবাকে শর্টে শান্তর হাতে ক্যাচ বানিয়ে ২৮ রানে ফেরান। এরপর আর কোন ব্যাটসম্যান সঙ্গ দিতে পারেন নি মুরকে। ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, জার্ভিসদের ফিরিয়েছেন তাইজুল, অপু। দ্বিতীয় দিনের সকালের সেশনে মাত্র ৪৭ রান যোগ করতেই বাকি পাঁচ উইকেট হারায় মাসাকাদজার দল।

যেখানে একাই চার উইকেট নেন তাইজুল। সর্বমোট এই ইনিংসে ছয় উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরান এই স্পিনার। টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থবারের মতো পঞ্চম উইকেট নেন তাইজুল। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৮ রান করেন উইলিয়ামস এবং ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন পিটার মুর।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। লাঞ্চের পর ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওভার না খেলতেই চেন্ডাই চাতারার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান বাঁহাতি ওপেনার ইমরুল (৫)। ব্যাকফুটে গিয়ে নরম হাতে খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে অফ স্টেপে এসে বল লাগে এবং উল্লাসে মেতে উঠেন জিম্বাবুয়াইনরা।

এর খানিক পরই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন এবং শান্ত। দলের বিপর্যয়ে উইকেটে টিকতে পারেন নি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও। ০ রানে ইনসাইড এজে বোল্ড হন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এরপর মুশফিক এবং মমিনুল হাল ধরার চেষ্টা করলেও আঘাত হানেন সিকান্দার রাজা। 

১১ রানে মমিনুল ফিরলে বড় বিপদের মধ্যে পড়ে বাংলাদেশ। ৩১ রান করা মুশফিকও ফেরেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। মেহেদি মিরাজ এবং আরিফুল হক হাল ধরে খেললেও মিরাজ ২১ রান করে শন উইলিয়ামসকে উইকেট দিয়ে বসেন।

শেষ পর্যন্ত আরিফুল হকের অপরাজিত ৪১ রানের উপর ভর করে মাত্র ১৪৩ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ১৩৯ রানের লিড পায় সফরকারীরা। জিম্বাবুয়ের পক্ষে টেন্ডাই চাটারা এবং সিকান্দার রাজা নেন ৩টি করে উইকেট। 

বাংলাদেশ একাদশ- 

লিটন কুমার দাস, ইমরুল কায়েস, মমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, আরিফুল হক, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম অপু, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি। 

জিম্বাবুয়ে একাদশ-

হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), ব্রায়ান চারি, ক্রেইগ আরভিন, ব্র্যান্ডন টেইলর, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, পিটার মুর, রেগিস চাকাবভা (উইকেটরক্ষক), ব্র্যান্ডন মাভুটা, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, কাইল জার্ভিস, টেন্ডাই চাতারা।

জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসঃ ১/০, ২ ওভার

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসঃ ১৪১/৮, ৪৮ ওভার

(আরিফুল ৩৯*, অপু ৮*; চাতারা ৩/৯, জার্ভিস ২/২৮ )

জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসঃ ২৮২ অলআউট, ১১৭.৩ ওভার 

(মুর- ৬৩*, উইলিয়ামস ৮৮ ; তাইজুল ইসলাম ৬/১০৮)