সাক্ষাৎকারসাক্ষাৎকার

অনেক অপেক্ষার ফলঃ খালেদ

আবিদ মোহাম্মদ

আবিদ মোহাম্মদ
প্রকাশের তারিখ: 11:58 শনিবার, 27 অক্টোবর, 2018

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেস্পন্ডেন্ট || 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দলে প্রথম বারের মত ডাক পেয়েছেন  ২৬ বছর বয়সী পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ। জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার দিনই চলমান জাতীয় ক্রিকেট লীগে সিলেটের হয়ে নিয়েছেন দশ উইকেট। সেই সঙ্গে আয়ারল্যান্ড এবং শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়ে বল হাতে নজরকাড়া পারফর্ম করেছেন তিনি।

সব মিলিয়ে পারফর্মেন্স দিয়েই নির্বাচকদের মন জয় করে ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলের স্কোয়াড। সব কিছু ঠিক থাকলে ডানহাতি এই পেসারের টেস্ট অভিষেক হতে পারে ঘরের মাঠে। সিলেটের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। আর নিজ শহরে অভিষেক হলে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত করবে তাঁকে। 

জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পরের দিনই কথা বলেছেন ক্রিকফ্রেঞ্জির সাথে। আলাপকালে জানিয়েছেন জাতীয় দলে জায়গা করে নেয়ার পথযাত্রার কথা। সেই সঙ্গে সিনিয়রদের পরামর্শ কিভাবে কাজে লাগিয়েছেন নিজের উন্নতির জন্য সেসব নিয়েও কথা বলেছেন ২০১৫-১৬ মৌসুমে সিলেট বিভাগের হয়ে অভিষেক হওয়া এই পেসার।   

ক্রিকফ্রেঞ্জির পাঠকদের জন্য খালেদ আহমেদের সাক্ষাৎকারটি  তুলে ধরা হলঃ 

ক্রিকফ্রেঞ্জি - জাতীয় দলে ডাক পেলেন এনসিএলের দশ উইকেট পাওয়ার দিনই... আশা করছিলেন ভালো খেললে ডাক আসতে পারে বা কোন ইঙ্গিত মিলেছিল আগে?

খালেদ -  অনেক দিনের অপেক্ষার ফল। জাতীয় লীগ 'এ' দলের হয়ে ভালো পারফর্ম করেছি। শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগে শুনছিলাম যে আমার ডাক আসতে পারে তাই চেষ্টা করেছি বেশী ভালো করে খেলার। ভালো খেললাম এছাড়াও শ্রীলংকা আর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো পারফর্মেন্স ছিল। যদি বলা হয় এনসিএলের পারফর্মেন্সের জন্যই শুধু ডাক পেয়েছি তা না। ওভারঅল পারফর্মেন্সের উপরেই আমাকে দলে নেয়া হয়েছে। ৬ বছর খেলার পর সুযোগ পেলাম। সুযোগ পেলে চেষ্টা থাকবে নিজেকে প্রমাণ করার। 

ক্রিকফ্রেঞ্জি - সময়ের সাথে সাথে নিজের বোলিংয়ে নতুনত্ব এনেছেন কোন?

খালেদ - সব সময়ই চেষ্টা করি বোলিংয়ে উন্নত করার। এবার যেমন ইন সুইং আউট সুইং নিয়ে বেশী কাজ করেছি সেটার ফলও পেয়েছি। উন্নতি হচ্ছে ধীরে ধীরে। চেষ্টা থাকবে জাতীয় দলেও সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেয়ার।

ক্রিকফ্রেঞ্জি - কোচদের অধীনে কি কি শিখেছেন?

খালেদ - চম্পকা রামানায়েকের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছি, উনি অনেক উপদেশ দিয়েছেন আমাকে। তাঁর কথা গুলোই ফলো করার চেষ্টা করছি। আর কোর্টনি ওলাশের সঙ্গে হালকা কাজ করা হয়েছে। বলেছিলেন আমাকে খেলে যেতে, আমি পারব। আত্মবিশ্বাস পেয়েছি এটাতে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি - সিনিয়ররা হেল্প করেছে কোন এই পথ যাত্রায়? 

খালেদ - এশিয়া কাপের ক্যাম্পের সময় সবার সাথেই ছিলাম। সাকিব-তামিম ভাইরা ছিলেন না শুরুর দিকে। মাশরাফি ভাই হেল্প করেছে, রুবেল-মুস্তাফিজের সাথেও কথা হয়েছে বোলিং নিয়ে। সবাই সহযোগিতা করেছে। চেষ্টা করি সবার উপদেশ গুলো মেনে নিজেকে আরও উন্নত করে তোলার।

ক্রিকফ্রেঞ্জি - স্টিভ রোডসের কাছ থেকে কোন পরামর্শ পেয়েছেন?

খালেদ - আসলে উনার সাথে বেশিদিন কাজ করা হয়নি। সামনে সুযোগ এসেছে কাজ করার। অবশ্যই তাঁর সাথেও কথা হবে। কোচের সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করব, আরও কিভাবে উন্নতি করা যায় সেটাও চেষ্টা থাকবে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি - আয়ারল্যান্ড-শ্রীলংকায় 'এ' দলের পারফর্মেন্স এবং এনসিএলের পারফর্মেন্সে নিজের উপর সন্তুষ্টি আছে? 

খালেদ - ওইখানে নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি, ফলও পেয়েছি। লাইন লেন্থ ঠিক রেখে জোড়ে বল করার চেষ্টা করছি। এনসিএলে চেষ্টা করেছি লাইন টু লাইন বল করার। গতি ঠিক রাখার, ওভারঅল চেষ্টা করেছি সব দিক দিয়েই নিজেকে প্রমাণ করার।

ক্রিকফ্রেঞ্জি - ঘরের মাঠে অভিষেক হলে কি করবেন?

খালেদ - সিলেট আমার হোম গ্রাউন্ড। এখানে খেলেই বড় হয়েছি, এখানেই বেড়ে ওঠা। যদি প্রথম ম্যাচে সুযোগ পাই তাহলে অভিষেকটা ঘরের মাঠেই হবে আমার। নিজেকে ভাগ্যবান মনে হবে। সুযোগ পাওয়া না পাওয়া বড় কথা না আসলে দলের সাথে থেকে অনেক কিছু শিখতে পাড়ব সেটাকেই বড় করে দেখছি।