সাকিব নেই, দায়িত্বে রিয়াদ

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইনজুরির কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজে খেলতে পারবেন না টেস্ট দলপতি সাকিব আল হাসান। তাই অধিনায়ক সাকিবের অনুপস্তিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব কাঁধে পড়তে পারে সহ-অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের কাঁধে।
এর আগে চলতি বছর ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ইনজুরিতে পড়ার কারণে শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ছিলেন না সাকিব। যেকারণে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রিয়াদ।
তাই বলা যাচ্ছে আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজেও সাদা পোশাকের বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিবেন এই ডানহাতি অলরাউন্ডার। টেস্ট দলপতি হিসেবে রিয়াদের অধীনে এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ।
যার প্রথমটিতে মিরপুর টেস্টে শ্রীলংকার বিপক্ষে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। পরের টেস্টে অবশ্য জেতা হয়নি তাদের। ২১৫ রানের বিশাল পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় টাইগারদের।
এদিকে সাকিবের পাশাপাশি ইনজুরির কারণে টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে নাও খেলতে পারেন তামিম ইকবাল। তামিম না থাকায় ওপেনিং পজিশনের দায়িত্ব সামাল দিতে হতে পারে সৌম্য সরকার এবং ইমরুল কায়েসকে।

সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে হাতের ইনজুরিতে পড়েন তামিম। যেকারণে এশিয়া কাপ থেকেও ছিটকে যান তিনি। ইনজুরি কাটিয়ে তাঁর মাঠে ফিরতে সময় লাগবে প্রায় ৪-৬ সপ্তাহের মত।
আর সাকিব আল হাসানের ইনজুরি সমস্যা চলতি বছরের শুরু থেকেই। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে চোট পাওয়ার পর ছিলেন না শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও। পরবর্তীতে ইনজুরি কাটিয়ে আফগানদের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজে ফিরেছিলেন তিনি।
কিন্তু তখনও সেই ইনজুরি পুরোপুরি সেরে উঠেছিলনা সাকিবের। ব্যাথানাশক ইনজেকশন এবং পেইনকিলার নিয়ে খেলেছেন উইন্ডিজদের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। এরপর সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের আগেই চেয়েছিলেন অস্ত্রোপচার করাতে।
কিন্তু এশিয়া কাপের কথা ভেবে আর অস্ত্রোপচার করান নি তিনি। পরবর্তীতে পাকিস্তানের বিপক্ষে অলিখিত সেমিফিইনালের আগে তাঁর ইনজুরি সমস্যা গুরুতর হয়ে ওঠে। যেকারণে এশিয়া কাপের মাঝেই দেশে ফিরে অপারেশন করাতে হয় তাকে।
এই কারণে প্রায় তিন মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। সাকিবের ইনজুরির বিষয়ে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী জানিয়েছিলেন,
'পর পর দুবার তিন চারদিনের ব্যাবধানে কিছু পূজ বের করা হয়েছে। ওর অবস্থা উন্নতির দিকে। ব্যথা আগের থেকে অ???েকটাই কমে এসেছে। সাকিবের ব্যাপারে আমাদের যেটা প্লান ছিল যে সুবিধাজনক সময়ে হাতের সার্জারি করা উচিত। সার্জারির আগে যদি সম্ভব হয় এশিয়া কাপ, জিম্বাবুয়ে সিরিজ খেলবে।
সেইমত এশিয়া কাপে অংশ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইনজুরিটা বেড়ে যায়। আপাতত এন্টিবায়োটিক চিকিৎসার মধ্যেই আছে। আমরা আশা করছি এই ধরনের চিকিৎসা আরও সপ্তাহ খানেক চলার পর ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণে আসবে।
আমরা চাইছি অস্ট্রেলিয়ায় যে হ্যান্ড সার্জনের তত্ত্বাবধায়নের ওর অপারেশন প্লান করা আছে উনার কাছে একবার পাঠানোর। দুটো কারণে, এখানকার যে হাতের অবস্থাটা আসলে কি, সার্জারির দরকার আছে কিনা আগামীতে। যদি হয়ে থাকে প্লানটা কি হবে। এসব মিলিয়ে আমরা পাঠাচ্ছি।
উনার এপয়নমেন্ট পাওয়া সাপেক্ষে শুক্রবার সাকিব হয়ত অস্ট্রেলিয়া যাবে। আমরা মনে করছি এক মাসের মতো সময় লাগবে এখানকার যে চোটটা আছে সেটা ম্যানেজ করতে। মেলবোর্নে ড. গ্রেগ হয়ের তত্ত্বাবধায়নের আছে ও।'