|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা মোহাম্মদ আশরাফুলের কারণে সবার আলাদা নজর ছিল সিলেট বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোর ম্যাচে। তবে এই ম্যাচে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে ম্যাচের সব নজর নিজের করে নিয়েছেন তরুণ টাইগার ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম।
২৩৮ বলে ১৫৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। তার দল ঢাকা মেট্রো দিন শেষ করেছে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৩২ রান করে। মেট্রোর হয়ে ২৮ রান করে মেহরাব হোসেন ও ১ রান করে অপরাজিত আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
ম্যাচের শুরুতে সোমবার টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা মেট্রো। শুরুটা ভাল হলেও আবু জায়েদ রাহীর বলে ৪২ রান করে আউট হয়ে যান ওপেনার সৈকত আলী। এরপর শামসুর রহমানকে নিয়ে জুটি গড়েন সাদমান।
কিন্তু এনামুল হক জুনিয়রের বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পরে ৩৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান শামসুর রহমান। ফলে কিছুটা চাপে পড়ে মেট্রো। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে দলকে চাপ মুক্ত করেছেন সাদমান।
দিনের শেষ বেলায় ২৩৮ বল খেলে ১৫৭ রান করে শাহনুর রহমানের বলে খন্দকার সায়েম আলম রিজভির হাতে ধরা পড়েন তিনি। ২টি ছয় এবং ২০টি চারে দারুণ এই ইনিংস সাজিয়েছেন সাদমান।
সাদমানের ফেরার পর দলকে সামনে থেকে পথ দেখিয়েছেন মেট্রোর অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব। অর্ধশতক তুলে নিলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। ৫০ রান করে শাহনুরের বলে তান্নার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
ঢাকা মেট্রো একাদশঃ
মার্শাল আইয়ুব (অধিনায়ক), মোহাম্মদ আশরাফুল, মেহরাব হোসেন জুনিয়র, শামসুর রহমান, আরাফাত সানি, সৈকত আলি, সাদমান ইসলাম, আসিফ হাসান, আবু হায়দার রনি, মোঃ শহিদুল, কাজি অনিক।
সিলেট একাদশঃ
ইমতিয়াজ হোসেন তান্না (অধিনায়ক), জাকির হাসান, অলক কাপালি, শাহনাজ আহমেদ, খন্দকার সায়েম আলম রিজভি, এনামুল হক জুনিয়র, খন্দকার রাজিন সালেহ আলম, শাহনুর রহমান, আবু জায়েদ চৌধুরি রাহি, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন।