বাংলাদেশ ক্রিকেট

শান্ত ও ভঙ্গুর ক্রিকেট সংস্কৃতি

জুবাইর

জুবাইর
প্রকাশের তারিখ: 17:19 বুধবার, 26 সেপ্টেম্বর, 2018

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

নাজমুল হোসেন শান্ত ২০১৬ সাল থেকেই দলের ডেভলপমেন্ট স্কোয়াডের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ দলের সাথে আছেন। নিউজিল্যান্ড সফরে ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিমের ইনজুরিতে আচমকা টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সদ্য অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় থেকে উঠে আসা শান্তর।

টেস্ট অভিষেকে প্রতিভার ঝলক দেখালেও অভিজ্ঞদের ভিড়ে বাংলাদেশ দলের টপ অর্ডারে জায়গা হয়নি ২০ বছর বয়সী শান্তর। জাতীয় দলের সাথে রেখে ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছিল তাঁকে।

এর মাঝে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত রান করে গেছেন তিনি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ও লিস্ট 'এ' প্রতিযোগিতায় দলের জন্য গুরুত্ববহ রান এসেছে শান্তর ব্যাট থেকে। ৪২ গড়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে রান করেছেন ছোট্ট ক্যারিয়ারে। 

পাঁচ সেঞ্চুরি ও নয় ফিফটির মালিক তিনি। লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারে ৩৭ গড়ে দুই হাজারের মত রান করেছেন। সাত ফিফটির বিপরীতে সেঞ্চুরি আছে পাঁচটি। যে কোন তরুণ ক্রিকেটারের এমন পরিসংখ্যান ক্রিকেট কর্তাদের নজর কাড়তে বাধ্য।

তামিম ইকবালের যোগ্য সঙ্গী হিসেবে নাজমুল হাসান শান্তকেই বিবেচনায় রাখা হচ্ছিল। কিন্তু অপ্রত্যাশিত টেস্ট অভিষেকের মতই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে ওয়ানডে অভিষেক হয় শান্তত।

এশিয়া কাপে খোদ তামিম ইকবালের ইনজুরির কারণে বদলী হিসেবে ওয়ানডে অভিষেক হয় নাজমুল হোসেন শান্তর। অসম্ভব কঠিন কন্ডিশনে অভিষেক হওয়া শান্তর জন্য তামিমের শুন্যতা পূরণ করা সহজ ছিল না।

টানা তিন ম্যাচ ইনিংসের সূচনা শুরু করে ব্যর্থ হয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সদ্য পা দেয়া শান্ত। ফলাফল, পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে শান্তকে বসিয়ে অপেক্ষাকৃত অভিজ্ঞ সৌম্য সরকারকে সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ দল।
 
বলা চলে, তরুণ ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরানোর জন্য এমনভাবে দল থেকে ছিটকে ফেলা যথেষ্ট ছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জায়গা করে নেয়র জন্য যথেষ্ট সময় কি বাংলাদেশ ক্রিকেটের কর্তা ব্যক্তিরা শান্তকে দিয়েছে? 

'শান্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র পা রেখেছে, আমাদের তাঁকে সময় দেয়া উচিত।,' দলের সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের তিন ম্যাচ ব্যর্থ শান্তর পক্ষ নিয়ে এমন মন্তব্য করেছিলেন। 

একই চিত্র দেখা গেছে বছরের শুরুতেও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজে আফিফ হাসান, জাকির হাসান, মেহেদি হাসানকে অভিষেক করায় বাংলাদেশ। এরপর এক-দুই ম্যাচ পরেই নির্বাচকদের রাডার থেকে ছিটকে পড়ে এই তরুন ক্রিকেটাররা। 

বলা চলে, একরকম বিবেচনার বাইরেই চলে গেছে এই তরুন ক্রিকেটাররা। তিন ওয়ানডে খেলা শান্তর দল থেকে ছিটকে পড়াও একই দুঃসংবাদ হবে না তো?