এনসিএল

এনসিএলের নামে পিকনিক বন্ধ হতে যাচ্ছে?

তামজিদুর রহমান

তামজিদুর রহমান
প্রকাশের তারিখ: 14:09 শনিবার, 18 আগস্ট, 2018

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে জাতীয় ক্রিকেট লীগ বা এনসিএলের অবদান অনস্বীকার্য হিসেবেই গণ্য হয়। আদর্শ টেস্ট ক্রিকেটার গঠনে এই টুর্নামেন্টের গুরুত্ব যে কতখানি তা বলে শেষ করা যাবে না।

কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রতি বছরই এনসিএল আসর অনুষ্ঠিত করা হয় অনেকটা দায়সারা ভাবেই। গত কয়েক আসরে বলতে গেলে তেমন প্রতিযোগিতাই দেখা যায়নি টুর্নামেন্টটিতে। এমনকি আয়োজকদের মধ্যেও তেমন কোন আগ্রহ দেখা যায়নি। এমনকি এনসিএলের উইকেট এবং মাঠ প্রস্তুত করার ক্ষেত্রেও দেখা যায় যথেষ্ট অনীহা। 

শুধু তাই নয়, এনসিএলে প্রতিযোগিতার অভাবও প্রকটভাবে দেখা যায় প্রতিবার। আর এই কারণে এই টুর্নামেন্টটিকে অনেকেই তুলনা করে থাকেন পিকনিক অর্থাৎ চড়ুইভাতির সাথে। এসকল কারণে দেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন উন্নতি হচ্ছে না খুব একটা। ফলে টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহও হারিয়ে ফেলছে অনেক ক্রিকেটার।  

তবে এবার হয়তো টনক নড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। ক্রিকেটের স্বার্থেই এবার এনসিএলের প্রতি আলাদা করে নজর দিতে যাচ্ছে তারা। এমনটাই আভাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। এনসিএলকে সামনে রেখে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি। নান্নু বলেন, 

'এটি (প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি) নিয়ে আমরা কাজ করছি। টুর্নামেন্ট শুরুর দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে আমাদের একটি মিটিং আছে। এরপরে স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে কাজ করব। এনসিএলের স্ট্যান্ডার্ড ঠিক রাখতে চাচ্ছি আমরা টেস্ট ক্রিকেটে যদি আমরা ভালো ফলাফল চাই তাহলে আমাদের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটকে একটি প্রতিযোগিতার মধ্যে আনতে হবে। সেই হিসেবে আমি মনে করি সবারই ইনভলভমেন্ট লাগবে এখানে। আশা করছি এই বছর থেকে আমরা ভালো কিছু শুরু করতে পারবো।'

ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়েও এখন থেকে ভালোভাবে কাজ করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মতো ঘরোয়া লীগের খেলোয়াড়দের ফিটনেসও যেন ভালো থাকে সেদিকেই লক্ষ্য করা হবে উল্লেখ করে নান্নু জানিয়েছেন, 

'আমরা একটি মিটিং করেছি। আমাদের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অনেকগুলো পেইড ক্রিকেটার আছে। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের ক্রাইটেরিয়া এবং ফিটনেস নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি মিটিংয়ে যেটি সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে আমরা শুরু করবো। আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সাথে তাদের ফিটনেস লেভেলটি একই রকম রাখা যায় কিনা এটি নিয়ে ফিটনেস ট্রেইনার যারা আছে তারা কাজ করবে।'

ঘরোয়া ক্রিকেটে বর্তমানে ইনজুরি একটি অনেক বড় ইস্যু। মূলত সঠিক পর্যালোচনা এবং তত্ত্বাবধানের অভাবেই ইনজুরির তালিকা বেশি হয় এখানে। তবে এবার সেটি মাথায় রেখেই এনসিএলে যেন পুরোপুরি ফিট হয়ে খেলতে পারেন ক্রিকেটাররা সেই দিকটি দেখা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন নান্নু। এনসিএলের এক মাস আগে থেকেই ফিটনেস ট্রেনিং শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, 

'এবারের এইচপিতেও আমাদের অনেকগুলো খেলোয়াড় ইনজুরিতে পরেছে। বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার পরেই যখন তারা আমাদের ক্যাম্পে আসে তখন ইনজুরি তালিকাটি অনেক বড় হয়ে যায়। সেটি মাথায় রেখেই আমরা এটি শুরু করছি। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে এনসিএল শুরু। সেই হিসেবে এক মাস আগে থেকেই আমরা ফিটনেস ট্রেনিংটা শুরু করছি এবং আমার মনে হয় আমরা একটি স্ট্যান্ডার্ড ক্রাইটেরিয়া সেট করতে পারবো।'