স্লেজিং

'সেই বাংলাদেশ স্লেজিংয়ে ভাঙ্গত, এই বাংলাদেশ নয়'

জুবাইর

জুবাইর
প্রকাশের তারিখ: 02:07 রবিবার, 12 আগস্ট, 2018

ক্রিকেট থেকে স্লেজিং এর নামে মাঠে একে অপরের প্রতি কুৎসিত আচরণ সমূলে নির্মূল করতে চায় ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসি। ক্রিকেটে একে অপরের প্রতি সম্মানবোধের জায়গা থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ খুনসুটি হতে পারে, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আঘাত করার মত মন্তব্য বা আচরণ সহ্য করা হবে না।

লর্ডসের মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) কাউন্ড্রি লেকচারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন আইসিসি প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন। একাধারে একজন সাবেক ক্রিকেট, আইন বিশেষজ্ঞ ও দীর্ঘদিন ক্রিকেটের সংগঠক হিসেবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ করা রিচার্ডসন ক্রিকেট মাঠে স্লেজিংকে অমূলক মনে করেন।

১৮তম কাউন্ড্রি লেকচারের প্রধান বক্তা হিসেবে অংশ নেয়া ডেভ রিচার্ডসন তার বক্তব্যে আইসিসির পক্ষ থেকে এখনকার ক্রিকেটারদের মৃদু হুমকি দিয়ে রেখেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪২ টেস্ট ও ১২২ ওয়ানডে খেলা তার খেলোয়াড়ি জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন,

'স্লেজিং ক্রিকেটের এমন একটি বিষয়, যা সবসময় মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে। এই স্লেজিং এর কি কোন বাঁধা ধরা নিয়ম আছে? কিন্তু ম্যাচের মধ্যে ছোটখাটো খুনসুটি, একই সাথে কিছুটা খেলোয়াড়সুলভ আচরণ সবসময়ই ক্রিকেটের অংশ ছিল। সামনেও থাকবে এবং এটা ক্রিকেটকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

'আমি মনে করি বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই স্লেজিং সময় নষ্ট ছাড়া কিছুই না। প্লেয়ায়রা নিজেদের বড় করে উপস্থাপনের জন্য এমনটা করে থাকে। আবার নিজেদের পড়ন্ত আত্মবিশ্বাসের কিছুটা বাড়িয়ে তোলার জন্যও স্লেজিং এর আশ্রয় নিয়ে থাকে। আর বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ক্রিকেটাররা স্লেজিং থেকে কোন উপকার পায় না।'

তিনি মনে করেন, এক সময়ের ছোট দল বাংলাদেশ ও তার আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্লেজিং ভালো হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যেত... কিন্তু সেটা আর এই যুগে সম্ভব না। তার ভাষায়, 'একটা সময় ছিল শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মত দলগুলোকে কথার বাণ দিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করা যেত। কিন্তু এখন আর আগের মত অবস্থা নেই। আর স্লেজিংয়ের নামে কুৎসিত আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। এই বিষয়টি থেকে আমরা ক্রিকেটকে মুক্ত করতে চাইছি।'

সাম্প্রতিক সময়ে স্লেজিং ইস্যুতে বিশ্ব ক্রিকেটে বেশ কিছু নেতিবাচক খবর এসেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার সফরের সময় কুইন্টিন ডি কক ও ডেভিড ওয়ার্নারের মধ্যকার বাগবিতণ্ডা আইসিসি কর্তাদের চোখে পড়েছে। যার কারনে স্লেজিং ইস্যুতে আরও কঠোর হচ্ছে আইসিসি।