ডিপিএল

নাসুমের ঘূর্ণি আর অপ্রতিরোধ্য ইমরুলে জিতল মোহামেডান

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 15:11 Friday, April 19, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

দশ ওভারে দুই মেডেনসহ মাত্র ২২ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন নাসুম আহমেদ। শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলটি অলআউট হয় ১৩৫ রানে। তারপর ইমরুল কায়েসের দারুণ এক অপরাজিত ইনিংসে ২৩.২ ওভারে পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জিতে যায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে থেকে সুপার লিগে যাচ্ছে মোহামেডান।

টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা ব্রাদার্সকে শুরু থেকেই চাপে রাখেন নাসুম। ব্রাদার্স শিবিরে প্রথম হানা দেন অবশ্য আবু হায়দার রনি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে এক্সট্রা কাভারে কামরুল ইসলাম রাব্বির মুঠোয় ধরা পড়েন আব্দুল মজিদ (০)।

পরের ওভারে রহমতউল্লাহ আলীকে ফিরিয়ে উইকেটের খাতা খোলেন নাসুম। শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে দারুণ একটি ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। রহমতউল্লাহ ফেরেন এক রান করে। নিজের পরের ওভারে ইমতিয়াজ হোসেনকেও ফেরান নাসুম।

তার বলে শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে ক্যাচ তোলেন দুই রান করা ইমতিয়াজ। দারুণভাবে এই ক্যাচটিও লুফে নেন মিরাজ। দারুণ দুটি ক্যাচ নেয়ার পর ইনিংসের ১৩তম ওভারে নিজেই উইকেট নেন মিরাজ। ২৫ রান করে উইকেটে থিতু হতে চাওয়া জাকিরুল আহমেদে বোল্ড করে বিদায় করেন তিনি।

উইকেট উৎসবে যোগ দেন মোহাম্মদ আসিফ হাসানও। পাঁচ রান করা আসিফ আহমেদ রাতুলকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ফলে ৬১ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারায় ব্রাদার্স। তারপর মাহমুদুল হাসান এবং রাহাতুল ফেরদৌসের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে দলটি।

৫৩ রানের জুটিও গড়েন তারা। এই দুজনকেই ফেরান নাসুম। ৫৮ বলে ৪৫ রান করা মাহমুদুলকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে আউট করেন তিনি। ৬২ বলে ৪৫ রান করা রাহাতুলকে ফেলেন স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে। ব্যাটারদের আশা-যাওয়ার মিছিলে ৩৪.৩ ওভারে ১৩৫ রানে অলআউট হয় ব্রাদার্স।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ৬৬ রান তোলে মোহামেডান। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ব্রাদার্সের বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেভাবে ভালো করতে পারছিলেন না কেউই। যদিও একপাশ আগলে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করেন ইমরুল কায়েস।

মোহামেডানের অধিনায়কের ব্যাটে আসে ৭১ বলে ১২টি চার ও তিনটি ছক্কায় অপরাজিত ৯২ রানের ইনিংস। এ ছাড়া রুবেল মিয়া ১৪ এবং রনি তালুকদার দশ রান করেন।