বিপিএল

সাকিব-মেহেদীর ঝড়ের পর তাহিরের ৫০০, খুলনার টানা ৪ হার

ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট

ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট
Publish Date: 22:05 Tuesday, February 13, 2024

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম থেকে ||

দ্রুত উইকেট হারালেও সাকিব আল হাসান, শেখ মেহেদী এবং শেষদিকে নুরুল হাসান সোহানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২১৯ রানের পুঁজি পায় খুলনা। রান তাড়ায় অ্যালেক্স হেলস ছাড়া কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় খুলনাকে হারতে হয়েছে ৭৮ রানে। প্রথম চার ম্যাচে জয় পাওয়া খুলনা হারল সবশেষ চার ম্যাচের সবকটিতেই। রংপুরের এমন জয়ের দিনে টি-টোয়েন্টিতে ৫০০ উইকেটের স্পর্শ করেছেন ইমরান তাহির।

চট্টগ্রামে ২২০ রান তাড়ায় এভিন লুইস ও অ্যালেক্স হেলসের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল খুলনা। তবে প্রত্যাশিত শুরু এনে দিতে পারেননি তাদের দুই ওপেনার। সাকিবের বিপক্ষে ছক্কা মেরে পরের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ১১ রান করা লুইস। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। খুলনার অধিনায়ককে ফিরিয়েছেন তাহির।

পাওয়ার প্লে শেষ হওয়া আগে আউট হয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুবও। তাহিরের টসড আপ ডেলিভারিতে মিড অফে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। একপ্রান্তের ব্যাটাররা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলেও অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে দ্রুত রান তুলছিলেন হেলস। দারুণ ব্যাটিংয়ে ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নেন। যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তাহিরের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ৬০ রান করা হেলস।

ইংলিশ এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তাহির। একই ওভারে ফিরিয়েছেন আকবর আলীকেও। হাবিবুর রহমান সোহানকে আউট করে তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। বাকিরা কেউ দাঁড়াতে না পারলে শেষ পর্যন্ত ১৪১ রানে অল আউট হয় খুলনার। তাহির ছাড়াও রংপুরের হয়ে সাকিব দুটি উইকেট নিয়েছেন।

বিপিএলের এবারের আসরে ব্যাট হাতে ছন্দে নেই রনি তালুকদার। গত ম্যাচে ত্রিশ পেরোনো ইনিংস খেললেও খুলনার বিপক্ষে এদিন ব্যর্থ হয়েছেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে লুক উডের মিডল ও লেগ স্টাম্পের বলে বোল্ড হয়েছেন রনি। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে ফিরেছেন আরেক ওপেনার রিজা হেনড্রিক্স। উডের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে এজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন। ২৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর রংপুরের হাল ধরেন সাকিব ও মেহেদী।

তিনে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন সাকিব। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে নাসুমের বিপক্ষে তিন ছক্কা ও দুই চারে ২৬ রান এনেছেন। পরের ওভারে অবশ্য জীবন পেয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বলে পুল করতে গিয়ে টপ এজ হয়েছিলেন। তবে ফাইন লেগে দাঁড়িয়ে সেই ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি নাহিদ রানা। জীবন পেয়ে মাত্র ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন। যা এবারের আসরে সবচেয়ে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড।

পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন সাকিব। লুইসের হাতে ক্যাচ বানিয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ঝড় থামিয়েছেন উড। দারুণ ব্যাটিং করা সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে ৩১ বলে ৬৯ রান। শুরুতে খানিকটা দেখেশুনে খেললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রান তোলার গতি বাড়িয়েছেন মেহেদী। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ২৮ বলে। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য ৬০ রানে ফিরেছেন নাসুমের বলে।

নিশাম এদিন ভালো করতে না পারলেও শেষ দিকে রংপুরের হয়ে দ্রুত রান তুলেছেন সোহান ও প্রিটোরিয়াস। মূলত সোহানের ১৩ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ২১৯ রানের বড় পুঁজি পায় রংপুর। খুলনার হয়ে একাই তিন উইকেট নিয়েছেন উড। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন নাসুম ও নাহিদ।