বিশ্বকাপ

‘বাংলাদেশের বিপক্ষে শক্তি প্রদর্শনের কি আছে?’

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 14:07 Wednesday, November 1, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

চলতি বিশ্বকাপে বাজেভাবেই শেষ হলো টাইগারদের সেমিফাইনালের স্বপ্ন। গতকাল পাকিস্তানের বড় জয় বিশ্ব আসর থেকে টাইগারদের বিদায় নিশ্চিত করেছে। অবশ্য সেমিফাইনালে যেতে এমন একটা জয় বেশ প্রয়োজন ছিল বাবার আজমদেরও। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বীরেন্দর শেবাগও এমনটাই মনে করেন। যদিও তার মতে বাংলাদেশের বিপক্ষে শক্তি প্রদর্শনের কিছুই নেই!

বিশ্বকাপে সেমিফাইনালেরর আশা নিয়েই মূলত দলগুলো দেশ ছাড়ে। ভিন্ন কোনও চিন্তা ছিলো না টাইগারদের। আফগানিস্তানকে হারিয়ে শুরুটাও বেশ দারুণ করেছিলো টাইগাররা। তবে টানা ৬ হার সেমির যাত্রাকে ইতোমধ্যে দুঃস্বপ্নে পরিণত করেছে। এদিকে পাকিস্তানের অবস্থাও প্রায় একই। শুরুর দুই ম্যাচে জয় পাওয়া দলটি হেরেছে টানা ৫ ম্যাচ। যা তাদের সেমির পথকে বেশ জটিল করে তোলে।

সেমিফাইনালে যেতে হলে শেষ তিন ম্যাচের সবগুলোই জিততে হবে বাবরদের। এমন সমীকরণ নিয়েই বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামে পাকিস্তান। শাহীন আফ্রিদির বোলিং তোপে এদিন মাত্র ২০৪ রানেই গুঁটিয়ে সাকিবরা। জবাবে ৩২.৩ ওভারে ৭ উইকেট হাঁতে রেখেই বড় জয় পায় পাকিস্তান। শেবাগের মতে বাংলাদেশের বিপক্ষে শক্তি দেখিয়ে লাভ নেই। রান রেট বাড়াতে পেরেছে এটাই তাদের বড় প্রাপ্য।

শেবাগ বলেন, 'বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাকে আমি শক্তি প্রদর্শনী বলব না। তারা আগে থেকেই বাজে খেলছে। তাদের বিপক্ষে শক্তি প্রদর্শনের কি আছে?, আজ (গতকাল) তারা যে ভালো কাজটি করেছে, সেটা হলো ৩২ ওভারের মধ্যে জয় তুলে নেয়া। এতে তাদের রানরেটের উন্নতি হয়েছে। (পয়েন্ট টেবিলে) ওপরে থাকা কোনও দলের রান রেট কমলে এটা তাদের (সেমিতে ওঠতে) সাহায্য করবে।'

দলগত ভাবে বেশ বাজে সময়ই পার করছে বাংলাদেশ দল। এমনকি নেদারল্যান্ডেসের বিপক্ষেও ৮১ রানে হেরে আত্মবিশ্বাসের তলানিতে রয়েছে তারা। ফলে আরেক ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার ইরফান পাঠান মনে করেন আত্মবিশ্বাসহীন টাইগারদের বিপক্ষে আক্রমণাত্মকভাবে খেলা উচিত ছিল বাবরদের। সেটা তারা ভালোভাবেই করেছে।

ইরফান বাংলাদেশ, পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে এক্সে (টুইটারে) লিখেছেন, ‘আত্মবিশ্বাসহীন এবং বাজে খেলা বাংলাদেশের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক খেলার প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের। তারা সেটা খুব ভালোভাবেই করেছে। তবে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা শাহিনকে (আফ্রিদি) দেওয়া উচিত ছিল।’