অ্যাশেজ সিরিজ

‘বাজবল ভালোবাসি, কিন্তু স্মার্ট হতে হবে এবং জিততে হবে’

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 18:06 Thursday, June 22, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বাজবল দিয়ে নিজেদের সমর্থক, সাবেক ক্রিকেটার এবং টেস্ট পছন্দ করেন এমন ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। বাজবল পছন্দ করেন এমন তালিকায় আছেন মাইকেল ভনও। তবে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়কের কাছে জয়টা যেন মূখ্য সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

১৭ ম্যাচে ১ জয়, এমন পরিসংখ্যানের পর নিজে থেকে নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন জো রুট। প্রধান কোচ সিলভারউডকেও বিদায় করে দিয়েছিল ইংল্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। নিজেদের পুরোনো ঐহিত্য ফেরাতে দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম এবং অধিনায়ক বেন স্টোকসের কাঁধে।

তাদের দুজনের অধীনে পুরোপুরি বদলে গেছে ইংল্যান্ডের খেলার ধরন। ভিন্ন ঘরানার ক্রিকেট খেলে নিজেদের খানিকটা ভয়ঙ্কর দল হিসেবেই গড়ে তুলেছেন তারা। সবশেষ ১২ মাসে বেশিরভাগ পরীক্ষাতেই পাশ করেছে স্টোকস ও ম্যাককালামের বাজবল।

অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম পরীক্ষায় অবশ্য ফেল করেছে তাদের ভয়ডরহীন ক্রিকেটের তত্ত্ব। প্রথম ইনিংসে প্রথম দিন শেষ হওয়ার আগেই ইংল্যান্ডের ইনিংস ঘোষণা অবাক করেছে সবাইকে। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে নিয়মিত উইকেটও হারিয়েছে তারা।

যার ফলে অস্ট্রেলিয়ার প্রথাগত টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেনি ইংল্যান্ডের বাজবল। এজবাস্টন টেস্টে উসমান খাওয়াজা-প্যাট কামিন্সদের বীরত্বে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ২ উইকেটে। এমন হারের পর ইংল্যান্ডকে আরও খানিকটা স্মার্ট হতে বলছেন ভন।

২০০৫ অ্যাশেজজয়ী অধিনায়ক ভন ক্রিকেবাজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘আমার মনে হয়, লর্ডসে দুই দলই একটু বদল আনবে (কৌশলে)। আমার ধারণা, প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া খুব একটা প্রসারিত হবে না এবং ছড়িয়ে ফিল্ডিং সাজাবে না। তারা আরেকটু জেঁকে ধরতে চাইবে। আমি খুবই অবাক হব, যদি ইংল্যান্ড আরেকটু সতর্ক হয়ে না খেলে।’

‘বাজবল আমি ভালোবাসি। যে প্রাণশক্তি ও অন্য সবকিছু বয়ে আনে এটি, তা ভালোবাসি। তবে এখন ব্যাপারটি হলো জয়ের। জিততে হবে এবং আরেকটু স্মার্ট হতে হবে। অস্ট্রেলিয়া দলকে যখন চাপে ফেলা যায়, তখন তাদেরকে আরও চেপে ধরে আরও পর্যদুস্ত করে ফেলতে হয়। ইংল্যান্ড এই কাজটিই পারেনি এজবাস্টনে।’

অ্যাশেজের প্রথম দুই টেস্টের স্কোয়াডে রাখা হয়নি নিয়মিত উইকেটকিপার বেন ফোকসকে। হ্যারি ব্রুককে খেলাতে এক প্রকার বাধ্য হয়েই জনি বেয়ারস্টোর হাতে উইকেটকিপিং গ্লাভস তুলে দেয় ইংলিশরা। যার খেসারত দিতে হয়েছে স্বাগতিকদের। বেয়ারস্টো যে ন্যাচারাল উইকেটকিপার নন সেটা মনে করিয়েছেন ভন। যদিও পরের টেস্টেও ইংল্যান্ডের আস্থা বেয়ারস্টোর উপরই।