বিপিএল

বৃথা গেল ইয়াসিরের লড়াই, তীরে এসে তরী ডুবলো খুলনার

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 13:06 শনিবার, 28 জানুয়ারি, 2023

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট, সিলেট থেকে ||

আগের ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে ছোটো লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি খুলনা টাইগার্স। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে তারা ১৬৬ রানের মাঝারি সংগ্রহ তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছে। যদিও অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বির ব্যাটে জয়ের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল দলটি।

শেষ দুই বলে জয়ের জন্য ৮ রানের সমীকরণের সামনে পড়েছিল খুলনা। পঞ্চম বলে দুই নিয়ে জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তিনি। ফলে শেষ বলে ছয়ের বিকল্প ছিল না খুলনার সামনে। মোসাদ্দেক হোসেনের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বলে এক রান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ইয়াসিরকে। ফলে ৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা। ইয়াসির শেষ পর্যন্ত ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন।

সিলেটে জয়ের জন্য ১৬৬ রান করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি খুলনা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে নাসিম শাহর লেগ ও মিডল স্টাম্পের ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তবে ব্যাটে-বলে না হওয়ায় লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন বাঁহাতি এই ওপেনার। ৭ রানে জীবন পাওয়া তামিম শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফিরেছেন ১১ রানে। দ্রুতই ফিরতে পারতেন অ্যান্ড্রু বালবির্নি। তবে নিজের স্লোয়ার ডেলিভারিতে ফিরতি ক্যাচ নিতে পারেননি মুস্তাফিজুর রহমান। 

এ দিকে তামিম ফেরার পর দলের রান বাড়াতে থাকেন বালবির্নি। তবে আয়ারল্যান্ডের এই ব্যাটারকে হাফ সেঞ্চুরি করতে দেয়নি কুমিল্লা। মুস্তাফিজের স্লেয়ার ডেলিভারিতে মিড উইকেট দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন বালবির্নি। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রিজওয়ান লুফে নিয়ে থ্রো করলে রান আউট করতে ভুল করেননি লিটন। তাতে ৩১ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরতে হয় ডানহাতি এই ব্যাটারকে। 

দ্রুত রান তুলতে গিয়ে আউট হয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৩ বলে ২৬ রান করা এই ব্যাটার। পাঁচে নেমে ১ রানের বেশি করতে পারেননি আজম খান। তানভীর ইসলামের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেটের পেছনে লিটনের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। 

ইয়াসির আলী রাব্বির আগে ব্যাটিংয়ে সুযোগ পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ১০ বলে মাত্র ৮ রান করে মুস্তাফিজের বলে আউট হয়েছেন তিনি। শেষ দুই ওভারে খুলনার প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। সেসময় বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই শাই হোপকে বোল্ড করেন নাসিম। ডানহাতি এই ব্যাটার ফিরেছেন ৩২ বলে ৩৩ রানে।

এরপর দলের হাল ধরেন ইয়াসির ও ওয়াহাব রিয়াজ। দুজনেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে দারুণ চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পারেননি তারা। দুজনের জুটি শেষ পর্যন্ত এই দুজনের জুটি অক্ষত ছিল ২০ রানে।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকে দেখেশুনে ব্যাটিং করতে থাকেন লিটন ও রিজওয়ান। দ্রুত রান তুলতে না পারলেও পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি কুমিল্লা। ভালো শুরু করলেও খানিকটা ধীরগতিতে হাফ সেঞ্চুুরি পান লিটন। যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি ডানহাতি এই ওপেনার। নাহিদুল ইসলামের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বালবির্নির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৪২ বলে ৫০ রান করা লিটন।

তিনে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন চার্লস। খুলনার বোলারদের উপর রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন তিনি। ৫ ছক্কায় ১৭৭.২৭ স্ট্রাইক রেটে ২২ বলে খেলেছেন ৩৯ রানের ইনিংস। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন রিজওয়ান। হাফ সেঞ্চুরি করা পাকিস্তোনের এই ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৪৭ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে। খুলনার হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ ও নাহিদুল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স- ১৬৫/২ (২০ ওভার) (রিজওয়ান ৫৪*, লিটন ৫০, চার্লস ৩৯; নাহিদুল ১/৩৪)

খুলনা টাইগার্স- ১৬১/৬ (২০ ওভার) (বালবিরনি ৩৮, হোপ ৩৩, ইয়াসির ৩০*, জয় ২৬; নাসিম ২/২৯, মুস্তাফিজ ১/১৫)