নারী এশিয়া কাপ

ছেলেদের অধিনায়ক হান্টার যেভাবে অস্ট্রেলিয়া থেকে মালয়েশিয়ায়

মমিনুল ইসলাম

মমিনুল ইসলাম
প্রকাশের তারিখ: 01:04 বুধবার, 05 অক্টোবর, 2022

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট, সিলেট থেকে ||

জন্ম মালয়েশিয়াতে, তবে বাবার পেশার কারণে অস্ট্রেলিয়াতে থাকেন ইলশা হান্টার। ঘরের মাঠে ২০১৫ বিশ্বকাপ দেখতে গিয়ে ক্রিকেটের প্রেমে মজেছিলেন এই অলরাউন্ডার। তারপর থেকেই ক্রিকেটের শুরু। তবে শুরুর গল্পটা ছেলেদের সঙ্গে। সুযোগের সদ্বব্যহার করতে ভুল করেননি হান্টার। নিজের যোগ্যতা দিয়ে বাবা-মার মন জয় করেছেন, ক্রিকেটকে পেশা বানিয়েছেন।

সিডনিতে থাকা হলেও মালয়েশিয়ার জার্সিতে নিজের জাত চেনাচ্ছেন হান্টার। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে হয়েছেন মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের অধিনায়কও। যদিও নেতৃত্বের শুরুটা হয়েছিল ছেলেদের ক্রিকেট দিয়ে। সিলেট নারী এশিয়া কাপ খেলতে এসে ক্রিকফ্রেঞ্জিকে দেয়া সাক্ষাকারে মালয়েশিয়ার ক্রিকেটের উন্নতি, নিজের উঠে আসা, নিজের ভবিষ্যৎ ভাবনার কথা মমিনুল ইসলামকে শুনিয়েছেন হান্টার।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টটা কেমন উপভোগ করছেন?

আমি দারুণ উপভোগ করছি। আমরা ইতোমধ্যে ভারত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে খেলেছি। এটা আমাদের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা। পরিবেশটাও বেশ ভালো, সবাই খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: টুর্নামেন্টটা জেতা হয়তো আপনারদের জন্য খানিকটা কঠিন। তবে ভারত, পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশের মতো দলের সঙ্গে খেলা নিশ্চয় আপনাদের এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে...

হ্যাঁ, অবশ্যই। আমরা অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যই এখানে এসেছি। শীর্ষ দলগুলোর সঙ্গে সবসময় খেলার সুযোগ হয় না। তাই আমরা এই টুর্নামেন্ট থেকে যতটুকু সম্ভব (অভিজ্ঞতা) নিতে চাই এবং আশা করি সেসব আমাদের পরের ম্যাচগুলোতে কাজে দেবে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্টের কারণে বড় দলের বিপক্ষে খেলছেন। এটা নিশ্চয় অন্য সহযোগী দেশগুলোকে অনুপ্রাণিত করবে...

আশা করি, অন্য দেশগুলোর লোকজন এটা দেখতে পারবে। মালয়েশিয়ার মতো দল ক্রিকেট খেলে এটা কয়েক বছর আগে মানুষ জানতই না। এমনকি মালয়েশিয়া ক্রিকেট খেলে সেটাও জানতো না। এখন অন্যরা দেখতে পারবে যে তাদের (মালয়েশিয়ার মেয়েদের) সম্ভাবনা আছে এবং নিজেদের একটি ক্রিকেট জাতি হিসেবে গড়ে তুলছে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: ক্রিকেটের শুরুটা আসলে কিভাবে?

যখন ২০১৫ বিশ্বকাপ চলছিল আমি তখন সবেমাত্র অস্ট্রেলিয়ায় এসেছি এবং সেসময় বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখার সুযোগ হয়েছিল। আমি দেখছিলাম তারা কতটা ভালো খেলছে। দেখতে বেশ ভালো লাগছিলো। আমার বাসার সামনে যে রাস্তাটা ছিল তার ওপাশে একটা ক্রিকেট ক্লাব ছিল। পরবর্তীতে সেখান থেকেই ক্রিকেট শুরু করি।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: অস্ট্রেলিয়াতে রাগবিটা খুবই জনপ্রিয় খেলা। কিন্তু সেটা রেখে আপনি ক্রিকেট বেছে নিলেন। কারণটা কি আসলে...

আমার মনে হয় আমি রাগবি খেলতে ভয় পাই। আমি তখন কেবলই ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি। ব্যাটিং করছি, বল ব্যাটে আসছে, এটা দারুণ অনুভূতি। তখনই আসলে বুঝতে পারি যে আমি ক্রিকেট খেলতে চাই।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: মেয়েদের জন্য ক্রিকেট খেলা শুরু করা তো কঠিন। আপনার বাবা-মা কতটা সমর্থন জুগিয়েছে...

হ্যাঁ, তারা (বাবা-মা) আমাকে ক্রিকেট খেলতে সমর্থন দেয়। কারণ আমি ছেলেদের ক্রিকেট দলের হয়ে খেলা শুরু করেছিলাম এবং তাদের সঙ্গে খেলেই আমি নিজেকে গড়ে তুলেছি। আমার বাবা-মা ক্রিকেট দেখেন, যে কারণে তারা আমার মাঝে সম্ভাবনা দেখছিলেন।

তারপর ছেলেদের দলে আমাকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়। আমি তখন ছেলেদের দলকে নেতৃত্ব দিতাম। তখনই আমার বাবা-মা বিশ্বাস করতে শুরু করেন ক্রিকেট নিয়ে আমার সামনে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেই সময় স্থানীয়ভাবে মেয়েদের ক্রিকেট দল বানানো হয়। এভাবেই আসলে অস্ট্রেলিয়ায় এবং পুরো বিশ্বে মেয়েদের ক্রিকেট ছড়িয়ে পড়ে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: ছোটকালে ছেলেদের সঙ্গে খেলেছেন, এখন মেয়ে দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন। দুই দলের মাঝে পার্থক্যটা কোথায়?

হ্যাঁ, অবশ্যই। আমার মনে হয় ছেলেরা শারীরিকভাবে খানিকটা বেশি সুঠাম। তারা আসলে দ্রুত বল করতে পারে এবং জোরে মারতে পারে। কিন্তু তারপরও আমার মনে হয় আমাদের যে অভিজ্ঞতা আর জ্ঞান আছে তাতে এখনও ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের দলটা ভালো। ছেলেদের বিপক্ষে খেলা এবং তাদের বিপক্ষে ম্যাচ ট্রায়াল দেয়াটা দারুণ ব্যাপার ছিল। কারণ এটা আমাদের দ্রুত গতির বল দেখতে সহায়তা করেছিল। তারা অবশ্য খানিকটা বেশি সুইং করতে পারে এবং জোরের ওপর বল করে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: ভারত, পাকিস্তানের আর্থিক কাঠামো তো বেশ ভালো। সহযোগি দেশ হিসেবে মালয়েশিয়ার কাঠামোটা কেমন?

আমার মনে হয় আপাতত এটা ঠিক আছে। কিন্তু আমরা দেশ হিসেবে উন্নতি করছি এবং বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতি পাচ্ছি। অবশ্যই, আর্থিক ব্যাপারগুলো সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো হবে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: আপনার বাবা একবার বলেছিলেন ক্রিকেট খেলে টাকা কামাও। মালয়েশিয়ার হয়ে খেলে সেটা পারছেন বলে মনে হয়?

আমরা এখনও বড় টুর্নামেন্টে সেভাবে খেলার সুযোগ পাইনি। আমাদের আর্থিক অবস্থা অন্য দেশের মতো না। তবে যত দিন যাচ্ছে ততই উন্নত হচ্ছে। এটাই স্বাভাবিক। আমার মনে হয় ঠিক আছে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: আপনার ১৪ বছরে অভিষেক হয়। শচিন টেন্ডুলকার ১৬ বছর বয়সে ভারতের হয়ে খেলেছে। এটা শোনার পর নিশ্চয় অনুপ্রাণিত হয়েছেন...

তার (শচিন টেন্ডুলকার) মতো কারও সঙ্গে কিছু মিলে যাওয়া তো দারুণ ব্যাপার। ১৩ বছর বয়সে আমি কেবল ক্রিকেটকেই ভালোবাসতাম। তখন শুধু আমি ক্রিকেটই খেলতে চাইতাম। আমার মতো তরুণীর ১৩ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলা এবং অন্য দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে পারা, তারা কিভাবে বোলিং-ব্যাটিং করতে এগুলো দেখতে পারাটাও দারুণ অভিজ্ঞতা। এসব থেকে আমি অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি এবং সেগুলো আমার খেলায় প্রয়োগ করার চেষ্টা করছি।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: আপনি তো চাইলে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে পারতেন,কিন্তু মালয়েশিয়াকে বেছে নিলেন। যাত্রাটা কিভাবে শুরু হলো।

মালয়েশিয়া ক্রিকেটের দেশ হিসেবে উন্নতি করছে। সেই সময় আমার বাবা মালয়েশিয়ান ক্রিকেটের কাছে আমার খেলার ভিডিও পাঠায় যদি মালয়েশিয়ার হয়ে খেলা যায় এবং এভাবেই আমার যাত্রা শুরু হয়।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: এখন তো সবাই বিগ ব্যাশ আইপিএল খেলতে চায়। আপনার কখনও বিগ ব্যাশ খেলার ইচ্ছে আছে?

আমি যদি নারী বিগ ব্যাশে খেলার সুযোগ পাই তাহলে দারুণ ব্যাপার হবে। সেখানে খেলতে পারলে আমার খেলায় উন্নতি হবে এবং আরও অভিজ্ঞতা হবে। বিশেষ করে সেখানে সবাই আন্তর্জাতিক তারকারা খেলতে আসে। সবাই উপরের সারির ক্রিকেটার।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: সিনিয়র দলে সুযোগ পাওয়ার প্রক্রিয়াটা যদি একটু বলতেন...

মেয়েরা সবাই আসলে খুবই সাপোর্টিভ। আমি যখন এসেছিলাম তখন তারা আমাকে সমর্থন দিয়েছিল। আমি যেহেতু অস্ট্রেলিয়ায় থাকতাম সে কারণে তাদের সঙ্গে সেভাবে কখনও অনুশীলন করা হয়নি। কিন্তু আমি যখনই তাদের কাছে এসেছি তখনই তারা আমাদের দ্বিতীয় পরিবারের মতো স্বাগতম জানিয়েছে। তারা আসলেই আমার দ্বিতীয় পরিবারের মতো।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: মালয়েশিয়ায় এসে নিজেকে মানিয়ে নেয়া কতটা কঠিন ছিল...

মানিয়ে নিতে খুব একটা কঠিন হয়নি। কারণ মেয়েরা আমার ব্যাপারে ইতিবাচক ছিল এবং তারা সমর্থন দিয়েছে। এমনকি আমাদের ম্যানেজার, কোচ, তারা সবাই আমাকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করেছে। এমন সমর্থন আমার জন্য দারুণ ব্যাপার।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: আপনার মতো দলে তো আরও অনেকেই আছে যাদের বয়স কম। সিনিয়রা আসলে তাদের কিভাবে সমর্থন দেয়...

আমার অধিনায়ক উইনি এবং আরও কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার আছে। তারা সবাই তরুণ মেয়ে ক্রিকেটারদের দারুণভাবে সহযোগিতা করে। মাঠে এসে তারা তাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেয়। ভালো ক্রিকেটার হতে এবং ক্যারিয়ার গড়তে কি করতে হবে সেই পরামর্শ দেয়।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: টুর্নামেন্টের এখন পর্যন্ত ভালো মুহূর্তের কথা যদি বলেন...

বিশেষ করে গতকাল আমরা যখন ভারতের বিপক্ষে উইকেট পেলাম তখন সবাই একত্রিত হলাম। আমাদের সবার জন্যই এটা দারুণ অনুভূতি। প্রত্যেকেই খুশি এবং আমরা একে অন্যকে আলিঙ্গন করছিলাম। এটা আমাদের জন্য অন্যরকম স্মৃতি।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: ম্যাচ শেষে ভারতের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বললেন, ছবিও তুললেন। মুহূর্তটা কেমন ছিল?

এটার অনুভূতি দারুণ ছিল। আমার মনে হয় এমন টপ লেভেলের খেলোয়াড়দের সান্নিধ্য পেতে এবং এই অবস্থানে থাকতে মানুষ অনেক কিছুই দেবে। ব্যাপারটা এমন নয় যে আপনি তাদের সঙ্গে প্রায়ই দেখা করতে পারেন এবং কথা বলতে পারেন কারণ তারা খুবই জনপ্রিয় ও তারকা ক্রিকেটার। তাদের সঙ্গে ছবি তোলা, কথা বলা, কিছুটা জ্ঞান নেয়া এগুলো আসলে দারুণ অভিজ্ঞতা।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: বিশেষ কারও কাছে কোন পরামর্শ চেয়েছিলেন বা নিয়েছেন?

হ্যাঁ, আমার আসলে জেমিমাহকে খুব পছন্দ। তার সঙ্গে কথা বলতে পারায় ভালো লেগেছে। সে কিভাবে অনুশীলন করে সেটা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছে। সে আমার কাছে জানতেও চেয়েছে আমরা কিভাবে অনুশীলন করি।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: ভারত আমাদের প্রতিবেশি, অথচ সমর্থকরা আপনাদের জন্য চিৎকার করছিলো। নিশ্চয় বাড়তি ভালো লাগা কাজ করেছে...

এটা আসলে চমকে দেয়ার মতো। কারণ এখানে আমাদেরকে মানুষ সমর্থন দেবে, এটা প্রত্যাশা করিনি। কারণ এখানে এটা আমাদের দ্বিতীয় খেলা ছিল। আমরা যখন খেলছিলাম তখন তারা আমরা 'মালয়েশিয়াকে ভালোবাসি' বলে চিৎকার করছিল। আমরা সব মেয়েরাই এটা উপভোগ করেছি। আমরা এমন সমর্থন পেতে ভালোবাসি। এটা ভেবে ভালো লাগছে ভক্ত-সমর্থক বাড়ছে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: ভবিষ্যতে মালয়েশিয়ার ক্রিকেটকে কোথায় দেখতে চান?

আমার মনে হয় আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে। আমরা আসলে কেবল উঠতে শুরু করেছি। আশা করি আমরা একদিন বড় দলগুলোর সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলবো।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: অনেক ক্রিকেটারকে টিভিতে দেখতেন, তাদের সঙ্গেই খেললেন। অন্য রকম অভিজ্ঞতা?

অনেক ভারতীয় ক্রিকেটারদের টিভিতে দেখি। মাঝে মাঝে এমন মনে হয় ও মাই গড, তারা সত্যিই অনেক ভালো ক্রিকেটার। আমি তাদের মতো হতে চাই। আমি তাদের সঙ্গে খেলতেও চাই। আমরা তাদের সঙ্গে বাস্তবে দেখা করার সুযোগ পেয়েছি। উদাহরণ হিসেবে আমি মেঘনার কথা বলতে পারি। তার বোলিং আমার খুব ভালো লাগে। সবসময় তাকে টিভিতে দেখতাম কিন্তু কাল তার দুটি বল খেলার সুযোগ পেয়েছি। এটা দারুণ অভিজ্ঞতা।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: সহযোগী দেশগুলোকে এগিয়ে যেতে কোথায় উন্নতি প্রয়োজন বলে মনে করেন...

আমি মনে করি আমাদের আরও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। বিশ্ব জুড়ে খেলে খেলে অভিজ্ঞতা নিতে হবে। এটা শুধু এশিয়ান দেশগুলোর মাঝেই নয়। সম্ভবত আমরা ইংল্যান্ডেও যেতে পারতাম এবং অন্যান্য দেশ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারতাম। নিশ্চিতভাবে আমরা এই খেলা নিয়ে আরও অভিজ্ঞতা অর্জন করবো।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: পাঁচ বছর পর মালয়েশিয়া বিশ্বকাপ খেলবে আর আপনি দলকে নেতৃত্ব দেবেন। এমন স্বপ্ন আছে নিশ্চয়...

সে সম্পর্কে এখনও জানি না। পাঁচ বছর, এটা এখনও অনেক দূরে। কিন্তু আমরা ধাপে ধাপে এগোতে চাই। একদিন নিশ্চয় দিনটা আসবে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: ক্রিকেটার হিসেবে ব্যক্তিগত লক্ষ্যটা কি?

ব্যক্তিগতভাবে, একজন ক্রিকেটার হিসেবে উন্নতি করে যেতে চাই। আমার আসলে লক্ষ্যের শেষ নেই কারণ আমার বয়স এখনও কম। আমি এখনও নিশ্চিত নই যে কি করতে চাই। কিন্তু আমি আমার উন্নতি করে যেতে চাই।