|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশ নারী দলের বোলিং ইউনিটের বড় আস্থার নাম নাহিদা আক্তার-সালমা খাতুনরা। এশিয়ার কন্ডিশনে তাদের স্পিন বেশ কার্যকরী। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বাউন্সি কন্ডিশনে তুলনামূলক পেসাররা বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাই নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে পেসারদের ঘিরেই পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ।
জাহানারা আলম, রিতু মনির মতো অভিজ্ঞ পেসাররা বল হাতে ধারাবাহিক। তাদের সঙ্গে স্কোয়াডে আছেন ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, সুরাইয়া আজমিনদের মতো পেসাররাও। যারা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ উন্নতি করেছে।
মূলপর্ব শুরুর আগে নিউজিল্যান্ড পৌঁছে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। দুই ম্যাচেই হেরেছে তারা। তবে ফলাফলের দিকে নজর দিতে চান না জ্যোতি। এই দুই ম্যাচেই ভালো বোলিং করেছে বাংলাদেশের পেসাররা। এটাকে প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন তিনি। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের পেস আক্রমণকে বড় ভরসার জায়গায় ভাবছেন জ্যোতি।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, 'সবশেষ দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে পেসাররা কিন্তু অসম্ভব ভালো বল করেছে। শুরুটা ভালো না পেলেও শেষে ও মাঝে চেষ্টা করেছে পুষিয়ে দিতে। পেস বোলিং ইউনিট যেটা আছে, আমার দলের জন্য এটা সম্পদ। আমার ও সবার বিশ্বাস, মূল ম্যাচগুলিতেও তারা তাদের পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারবে।'
প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করেছেন শারমিন আক্তার-ফারজানা হকরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন শারমিন। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭১ রান করেছেন ফারজানা। কিন্তু দুই ম্যাচেই অপর প্রান্তের ব্যাটাররা তাদের সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই ভুগতে হয়েছে দলকে।
জ্যোতি বলেন, 'আমরা সবাই বুঝতে পেরেছি, এই কন্ডিশনে কীভাবে খেলতে হবে। জুটি গড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শারমিন আক্তার সুপ্তা অসাধারণ ইনিংস খেলেছে। তাকে দু-একজন সাপোর্ট দিতে পারলে আমাদের রান দুইশ না হয়ে ২৫০-২৬০ রানের কাছে যেতে পারতাম। আমাদের প্রস্তুতির জন্য ভালো হতো।'