নারী ক্রিকেট

আড়াই বছর পর পুরনো ঠিকানায় ফিরলেন রমেশ পাওয়ার

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 06:36 শুক্রবার, 14 মে, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

২০১৮ সালে মিতালি রাজের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ভারত নারী দলের কোচের চাকরি হারিয়েছিলেন রমেশ পাওয়ার। আড়াই বছর পর আবারও একই দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেলেন ভারতের সাবেক এই অফ স্পিনার। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। 

২০১৮ সালে দায়িত্ব পাওয়া কালে পাওয়ারের উত্তরসূরি হয়েছিলেন ডব্লিউভি রামন। এবার তারই স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। রামনের অধীনে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে ভারত। যেখানে তারা হেরেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। 

এরপরই শুরু হয় করোনাভাইরাসের প্রকোপ। বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকে গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের আগ পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি ভারতের মেয়েরা। ঘরের মাঠে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ৪-১ ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে তারা।

এতেই বিদায় ঘণ্টা বাজে রামনের। গত মাসের মাঝামাঝি দুই বছরের জন্য কোচ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল বিসিসিআই। যেখানে আবেদন করেন ৩৫ জন। সেখান থেকে মূলত পাওয়ারকে বেছে নেয় তিন সদস্যের ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি। যেখানে দায়িত্বে ছিলেন মদন লাল, আরপি সিং ও সুলক্ষনা নায়েক।

২০১৮ সালের জুলাইয়ে অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে প্রথমবার নিয়োগ পেয়েছিলেন পাওয়ার। এরপর তার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০১৮ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। ওই আসরের সেমি-ফাইনালে উঠেছিল ভারত।

এরপরই একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন পাওয়ার ও মিতালি। তখন মিতালি প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, পাওয়ারের আচরণে তিনি হতাশ। প্রত্যুত্তরে পাওয়ার জানান, মিতালি হুমকি দিয়েছিলেন, ওপেনিংয়ে খেলতে না দিলে অবসর নিয়ে নেবেন।

ওই বিতর্কিত ঘটনার পর পাওয়ারের চুক্তির মেয়াদ আর বাড়ায়নি বিসিসিআই। উল্টো সাবেক এই স্পিনারকে দায়িত্বে রাখতে বোর্ডের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন হারমানপ্রিত কাউর ও স্মৃতি মান্ধানার মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা।

এরপর বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে ও ভারত ‘এ’ দলের সঙ্গে কাজ করেছেন পাওয়ার। গত ফেব্রুয়ারিতে মুম্বাইয়ের কোচের দায়িত্ব পান তিনি। সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর তার হাত ধরেই ৫০ ওভারের প্রতিযোগিতা বিজয় হাজারে ট্রফি জেতে মুম্বাই।

খেলোয়াড়ি জীবনে ২০০৪ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ভারতের হয়ে ২টি টেস্ট ও ৩১টি ওয়ানডে খেলেন পাওয়ার। উইকেট নেন সব মিলিয়ে ৪০টি। ১৪৮ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তার উইকেট ৪৭০টি। রান করেছেন চার হাজারের বেশি।