ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ
সাকিব-মাশরাফির তুলনায় রোডস

ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টেস্টে এমন বাজে পারফর্মেন্সের প্রধান কারণ ছিল শুরুতেই বিপর্যয়ের দেখা। যা টাইগারদের অনুপ্রেরনার পথে অনেক বড় বাধা সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন টাইগারদের নব নিযুক্ত প্রধান কোচ স্টিভ রোডস।
তাঁর মতে, টেস্টে টস অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে। এন্টিগায় টস হেরে প্রথমেই ভেঙ্গে গিয়েছিল বাংলাদেশের মনোবল। এরপর তো ৪৩ রানের লজ্জার দেখা। শুরুতেই এমন দূরবস্থা যে কোন দলকে হারিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করছেন সাকিবদের এই কোচ।
পাশাপাশি সেখানে সময় এবং দলীয় প্রেরণা কিছুই বাংলাদেশের পক্ষে ছিল না, এমনটাই মনে করছেন রোডস। ক্রিকবাজকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন তিনি।
'ক্রিকেট হল মোমেন্টামের খেলা। বিশ্বের সেরা অধিনায়কের জন্যও যখন মোমেন্টাম খারাপ থাকে, তখন ঘুরে দাঁড়ানো কষ্টকর। আমরা যখন টসে হেরেছিলাম এবং অলআউট হয়েছিলাম ৪৩ রানে (উইন্ডিজদের বিপক্ষে), এর মানে হলো মোমেন্টাম পুরোপুরি আমাদের বিপক্ষে ছিল।'

তবে এমন পরাজয়ের জন্য অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে একদমই দায়ী করেননি স্টিভ রোডস। বিশ্বের সেরা অধিনায়কের পক্ষেও এমন তলানি থেকে উঠে আসা সম্ভব ছিল না বলে মনে করেন তিনি।


বাংলাদেশের শুরুটা একটু ভালো হলেই খেলার রূপ বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। পাশাপাশি দল হিসেবে খেলার মোমেন্টামও ধরে রাখা সম্ভব ছিল বলে বিশ্বাস রোডসের। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য,
'যেমনটা আমি বলেছি, বিশ্বের সেরা অধিনায়ক থাকলেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারতো না। আমি মনে করি সাকিবের অধিনায়কত্বের জন্য এটি হয়নি। সে অনেক ভালো একজন অধিনায়ক। আমরা যদি একটি ভালো শুরু পেতাম এবং টসে জিততে পারতাম তাহলে হয়তো আমরা মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারতাম।'
এদিকে টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন প্রধান কোচ। দেশ বিদেশের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে খেলে থাকেন সাকিব, যা তাকে এই ফরম্যাট সম্পর্কে অনেক জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করে।
টেস্ট ক্রিকেটের তুলনায় সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের প্রচুর মেধা রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন কোচ। পাশাপাশি সাকিবকে দেশের সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সমতুল্যও ভাবেন তিনি।
কোচের দৃষ্টিতে দুইজনই দক্ষতা সম্পন্ন অধিনায়ক। এমন অধিনায়কের অধীনে দল পরিচালনা করতে পারাকে নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছেন স্টিভ রোডস। তাঁর ভাষায়,
'সে (সাকিব) একজন কোয়ালিটি সম্পন্ন অধিনায়ক এবং ক্রিকেটার, মাশরাফির মতোই। সুতরাং বাংলাদেশের অবশ্যই কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ দুই জন দারুণ অধিনায়কের প্রতি। আমরা সাকিবকে টি টুয়েন্টি এবং টেস্টের অধিনায়ক হিসেবে পেয়েছি এবং সে একজন অসাধারণ অধিনায়ক।
'সে যেভাবে ক্রিকেট খেলে তাতে করে দলের সবাই তাঁকে সম্মান করে। তবে তাঁর ক্রিকেটীয় জ্ঞান এবং মেধা বিশেষ করে টি টুয়েন্টিতে অসাধারণ। এটি হয়েছে কারণ সে অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজির অধীনে প্রচুর টি টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। সে সকল ক্রিকেটারদেরকেই চেনে এবং সে খেলাটি সম্পর্কে জানে। আমরা আসলেই অনেক সৌভাগ্যবান দুইজন (সাকিব এবং মাশরাফি) ভালো অধিনায়ক পাওয়ায়।'